বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের ৯৬ ভাগ মানুষ চিকিৎসা সেবার বাইরে রয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন । আজ বৃহস্পতবিার নয়াপল্টনস্থ বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এই মন্তব্য করেন।
রিজভী আহমেদ বলেন, করোনার নমুনা পরীক্ষার জন্য বিভিন্নভাবে ১ কোটি লোক আবেদন করলেও সরকারি তথ্য অনুযায়ী এ পর্যন্ত পরীক্ষা হয়েছে ৪ লক্ষ ৪২ হাজার। অর্থাৎ ৯৬ শতাংশ মানুষ চিকিৎসা সেবার বাইরে রয়ে গেছে। যারা চিকিৎসা পাচ্ছেন মূলত তারা ক্ষমতাশালী ও সরকারি প্রভাবশালী মানুষ। সিংহভাগ মানুষ কোন সেবাই পাচ্ছে না। এই হলো বর্তমানে বাংলাদেশে চিকিৎসা সেবার হাল-হকিকত। তাহলে বিগত ১২ বছরে লাখ কোটি টাকার ওপর যে বাজেট পেশ হয়েছে সেই টাকা গেলো কোথায়?
তিনি বলেন, বাংলাদেশে ৩০ শতাংশ হাসপাতালে অক্সিজেনের কোন ব্যবস্থা নেই, ভেন্টিলেটর তো দূর আকাশের তারা।
আইসিইউ বেড এখন সোনার হরিণের মতো স্বপ্নে দেখা যায়, কিন্তু বাস্তবে পাওয়া যায় না। স্বাস্থ্যখাতে ১২ বছরে বাজেটে বরাদ্দকৃত টাকা শুধু লুটপাটেই ব্যয়িত হয়েছে। ক্ষমতাসীনদের কল্যাণে এই টাকা উধাও হয়ে গেছে বাংলাদেশের বাইরের বিভিন্ন দেশে। আর দেশের সাধারণ মানুষ সবসময় চিকিৎসা বঞ্চিত থেকেছে। এখন বর্তমানে বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির তান্ডবে এদেশের করোনা আক্রান্ত মানুষ চিকিৎসার অভাবে এক বিভিষিকাময় মৃত্যুর সম্মুখীন হয়েছে।
আওয়ামী লীগের শক্তি শুধুমাত্র বিএনপিসহ বিরোধী মত ও চিন্তার মানুষকে জুলুম-নির্যাতন করতেই ব্যবহার হয় অভিযোগ করে রিজভী বলেন, বিএনপি’র নারী নেত্রীসহ যুব-ছাত্র কাউকেই এই দুর্যোগকালেও গুম-গ্রেপ্তার ও হয়রানির হাত থেকে রেহাই দেয়া হচ্ছে না। তৃণমূল থেকে শুরু করে কেন্দ্রীয় নেতা ও মন্ত্রীদের আত্মীয়স্বজন পর্যন্ত কেউই এই সর্বগ্রাসী করোনার আগ্রাসনের মুখেও ত্রাণ চুরি থেকে নকল মাস্ক এর ব্যবসাসহ এহেন অনাচার অপকর্ম নেই, যেটির সঙ্গে তাদের সংশ্লিষ্টতা নেই। যার কারণে এখন করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সর্বাধিক মাশুল দিতে হচ্ছে।
