আগামী ডিসেম্বরে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা রক্ষার স্বার্থে বাংলাদেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন হতে যাচ্ছে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দিন বলেছেন। এই নির্বাচন দেশের নাগরিকদের জন্য এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এই নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে এই দেশ আগামীতে কীভাবে পরিচালিত হবে। গতকাল বিকেলে ইপিজেড মোড়ের বে-শপিং সেন্টার চত্বরে বন্দর, ইপিজেড ও পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন। ড. কামাল হোসেন ঐক্যের নামে আগুন নিয়ে খেলছেন বলে মন্তব্য করে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন এর পরিণাম শুভ হবে না বলেও হুঁশিয়ারি দিয়েছেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রামের রাজপথে কাউকে বিশৃঙ্খলা করতে দেওয়া হবে না। নির্বাচন কমিশন ঘোষিত তফসিল অনুযায়ী যথাসময়ে নির্বাচন হবে। এ জন্য পাড়ায়-মহল্লায় এখন থেকেই নির্বাচনী প্রস্তুতি শুরু করতে হবে। তিনি আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু কন্য জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। এখন আমাদেরকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে-আমরা কি এই বাংলাদেশ একটি অকার্যকর রাষ্ট্রে পরিণত হোক সেটি চাইবো ? কিংবা এই বাংলাদেশ একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক দেশে পরিণত হোক সেটি চাইবো ? আমার উত্তর হচ্ছে- কখনোই না। আপনারা জানেন এই দেশ চারদলীয় জোট সরকারের আমলে বিশ্বের এক নম্বর দুর্নীতিগ্রস্ত দেশের স্বীকৃতি পেয়েছিলো। আমরা সেই জায়গা থেকে বেরিয়ে এসেছি।
সিটি মেয়র বলেন, দেশের স্বার্থে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে দেশকে পরিচালিত করছেন এবং যেভাবে উন্নয়নের মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন করছেন এতে সামনে বাংলাদেশের সুদিন আসছে ধরে রাখুন। কারণ গত ১০ বছরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দেশব্যাপী যে পরিমান উন্নয়ন করেছেন অতীতের কোনো সরকার কখনো তা করতে পারেনি। কোনো সরকার এই দেশকে অর্থনেতিকভাবে সমৃদ্ধির দিকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারেনি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এখন আর গরীব দেশ নয়। বাংলাদেশ এখন আর স্বল্পোন্নত দেশ নয়, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পৌঁছে গেছে।
আ জ ম নাছির উদ্দিন আরো বলেন, দেশে এক সময় দরিদ্রসীমার নিচে অনেক লোক বসবাস করতো। সেই অবস্থা থেকে ধীরে ধীরে আমরা বের হয়ে আসছি। আগামী ২০৩০ সালের মধ্যে বাংলাদেশ হবে পৃথিবীর মধ্যে দারিদ্রমুক্ত একটি দেশ। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন দেশের প্রতিটি মানুষ যেনো খেয়ে পড়ে বাঁচতে পারে। বঙ্গবন্ধু চেয়েছিলেন প্রত্যেকটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন হোক। প্রতিটি মানুষ সুখে শান্তিতে থাকুক। এখন মানুষের ভাগ্যের পরিবর্তন হয়েছে। প্রচুর কর্মসংস্থান সৃষ্টি হয়েছে। দেশব্যাপী উন্নয়নের কর্মযজ্ঞ চলছে।
তিনি আরো বলেন, আজকে চট্টগ্রাম বন্দরে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। একইভাবে সড়ক ও রেলপথ ব্যবস্থারও উন্নয়ন হয়েছে। চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন, চট্টগ্রাম ওয়াসা, চট্টগ্রাম বন্দর, রেলওয়ে, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ, বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পানি উন্নয়ন বোর্ডসহ সকল প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন প্রকল্প গ্রহণ করে চট্টগ্রামবাসীর ভাগ্যের উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। যার কারণে চট্টগ্রামে আজকে আমুল পরিবর্তন হয়েছে।
সমাবেশে মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি খোরশেদ আলম সুজন বলেন, দেশের সংবিধান প্রণেতা ড. কামাল হোসেন নীতিহীন এবং দাগী খুনিদেরকে নিয়ে এখন ঐক্যফ্রন্ট করেছেন। তার জোটে আছে স্বাধীনতা বিরোধী নেতারা। ঐক্যফ্রন্টে আছে আ স ম আবদুর রব ও মাহমুদুর রহমান মান্নার মতো চরিত্রহীন নেতা। ড. কামাল হোসেন সাহেব আপনি একবার বলেছেন এটি কোনো নির্বাচনী ফ্রন্ট নয়। অথচ নির্বাচনী প্রচারণা চালাতে এবার আপনি চট্টগ্রামে বিএনপির নেতাদের সাথে এসেছেন। আগামীতে যদি বিএনপির নেতাদের সাথে আপনি আসেন তাহলে আপনাকে প্রতিহত করা হবে। বিএনপির সাথে আপনাকে আমরা দেখতে চাই না। আওয়ামী লীগকে নিয়ে ষড়যন্ত্র করে লাভ নেই। যুগে যুগে ষড়যন্ত্রকারীরা আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ হয়েছে। কিন্তু ইতিহাস বলছে সেই ষড়যন্ত্রকারীরা কখনোই সফল হয়নি। এবারো তারা ব্যর্থ হবে।
নগর আওয়ামী লীগের ধর্ম বিষয়ক সম্পাদক জহুর আহমদ কোম্পানীর সঞ্চালনায় সমাবেশে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, সহ-সভাপতি আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক চন্দন ধর, বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক মশিউর রহমান চৌধুরী, কার্যনির্বাহী সদস্য কামরুল হাসান ভুলু, নুরুল আলম, রোটারিয়ান মো. ইলিয়াছ, সাইফুদ্দীন খালেদ বাহার, কাউন্সিলর গোলাম মোহাম্মদ চৌধুরী, ১৪ দলীয় নেতা মিতুল দাশগুপ্ত, ইপিজেড থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক হাজী হারুনুর রশীদ, যুগ্ম-আহবায়ক মো. আবু তাহের, পতেঙ্গা থানা আওয়ামী লীগের আহবায়ক আব্দুল হালিম, যুগ্ম-আহবায়ক এ এম এন ইসলাম, বন্দর থানা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মো. ইলিয়াছ, ৪১ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি কাউন্সিলর হাজী ছালেহ আহমদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক নুরুল আলম, ৪০ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল বারেক কোম্পানী, সাধারণ সম্পাদক জয়নাল আবেদীন চৌধুরী আজাদ, ৩৯নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুলতান মো. নাছির উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক হাজী শফিউল আলম, ৩৮নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি এম হাসান মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক হাজী মো. হাসান, ৩৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি হোসেন মুরাদ, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, ৩৬নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহবায়ক ইসকান্দর মিয়া, যুগ্ম-আহবায়ক সাইফুল আলম চৌধুরী, মোর্শেদ আলী, নুর নবী চৌধুরী লিটন, ৩৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাজী জিয়াউল হক সুমন, সাবেক কমিশনার হাজী মো. আসলাম, এটিএম শামসুল আলম, মহানগর শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী মাহবুবুল হক এটলি, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি ইমরান আহমেদ ইমু, ইপিজেড থানা মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শারমিন সুলতানা ফারুক প্রমুখ।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
