প্রথমদিনে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিস্কৃত সাধারণ শামীমা নূর পাপিয়া ওরফে পিউ ১৫ দিনের পুলিশি রিমাণ্ডের । তাতে ওঠে এসেছে তার গডফাদার-গডমাদারদের তথ্য। তাদের আশ্রয়-প্রশ্রয়েই বেপরোয়া হয়ে ওঠেন পাপিয়া। বিস্তার ঘটান অপরাধ জগতের। আর তার এ কাজে সহযোগিতা করেন তার স্বামী মফিজুর রহমান সুমন ওরফে মতি সুমন।     

তদন্ত সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা বলছেন, যুব মহিলা লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির শীর্ষস্থানীয় দুই নেত্রী এবং সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক এক সাংসদের আশ্রয়ে-প্রশ্রয়ে বেপরোয়া হয়ে ওঠেন শামীমা নূর ওরফে পাপিয়া। ওই তিনজনের মাধ্যমেই আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাদের সঙ্গে যোগাযোগ হয় তার।

বিমানবন্দর থানার পরিদর্শক ও পাপিয়ার বিরুদ্ধে করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা  মো. কায়কোবাদ কাজী গণমাধ্যমকে বলেন, জিজ্ঞাসাবাদে পাপিয়ার অপরাধজগৎ সম্পর্কে চমকপ্রদ তথ্য বেরিয়ে আসছে। মূলত যুব মহিলা লীগের শীর্ষস্থানীয় দুই নেত্রী ও ঢাকার একজন সাবেক নারী সাংসদের আশ্রয়-প্রশ্রয়ে  থেকে মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কর্মকা- ও চাঁদাবাজি করতেন।

এছাড়া চাকরি  দেয়ার কথা বলে কিংবা বিদেশে পাঠানোর নামে অনেকের কাছ থেকে তিনি বিপুল অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন।

এই তদন্ত কর্মকর্তা বলেন, নরসিংদীর এক ব্যক্তিকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলে পাপিয়া তাঁর কাছ থেকে আড়াই লাখ টাকা নেন। শেষ পর্যন্ত বিদেশে পাঠাতে না পারায় ওই ব্যক্তি টাকা ফেরত চাইলে তাঁকে মারধর করে তাড়িয়ে দেয়া হয়। ওই ব্যক্তি থানায় মামলা করতে এসেছিলেন। তাকে নরসিংদীতে মামলা করার পরামর্শ দেয়া হয়।

র‌্যাব জানায়, ২২ ফেব্রুয়ারি আটক করার সময় পাপিয়া বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তির সঙ্গে তাঁর যোগাযোগ রয়েছে বলে ক্ষমতার দাপট দেখানোর চেষ্টা করেন।

পাপিয়া নরসিংদী জেলা যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে থাকা অবস্থায় বিদেশে পালিয়ে যাওয়ার সময় ২২শে ফেব্রুয়ারি হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আটক হন। ধরা পড়ার পর তাকে দলীয় পদ থেকে বহিষ্কার করা হয়। জাল টাকা সরবরাহ, মাদক ব্যবসা, অনৈতিক কাজ, অবৈধ অস্ত্র ও মাদক রাখার অভিযোগে পাপিয়া, তার স্বামী মফিজুর রহমান ওরফে মতি সুমনসহ চারজনকে গতকাল মঙ্গলবার থেকে জিজ্ঞাসাবাদ করছে রাজধানীর বিমানবন্দর থানার পুলিশ।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031