বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় আবার আদালত বদলে দেয়ার আবেদন করেছেন। রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় আবেদনটি করা হয়।

বিচারপতি মো: শওকত হোসেন ও বিচারপতি মো: নজরুল ইসলাম তালুকদারের হাইকোর্ট বেঞ্চে সোমবার এই আবেদনের ওপর শুনানি হতে পারে। খালেদা জিয়ার আইনজীবী মাহবুব উদ্দিন খোকন সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

ঢাকা বিশেষ জজ আদালত ৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামানের আদালতে মামলাটির বিচারকাজ চলছে। কিছু দিন আগে খালেদা জিয়ার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মামলায় আদালত পাল্টে দিয়েছিল হাইকোর্ট। এর আগেও বিএনপি নেত্রীর আবেদনে বিচারক পাল্টে দেয়া হয়।

খালেদা জিয়া বর্তমানে লন্ডনে রয়েছেন। বিদেশ থাকায় তিনি আদালতে হাজিরা দিচ্ছেন না। আদালতে হাজির না হওয়ায় খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করে দুদক। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত বৃহস্পতিবার খালেদা জিয়ার জামিন কেন বাতিল করা হবে না- তার কারণ দর্শানোর জন্য আইনজীবীদের নির্দেশ দেন আদালত। ৩০ মিনিটের মধ্যে খালেদা জিয়ার আইনজীবী আব্দুর রেজ্জাক খানকে এর কারণ দর্শাতে নির্দেশ দেন।

আদেশের পর খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা জবাব দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়া রোখ ও পায়ের চিকিৎসার জন্য লন্ডনে অবস্থান করছেন। তিনি চিকিৎসা শেষে আগামী সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি সময়ে দেশে ফিরে আসবেন। যেহেতু তিনি দেশে ফিরে আসবেন এজন্য জামিন বহাল রাখার আবেদন মঞ্জুর করার নির্দেশনা চান আইনজীবীরা।

শুনানি শেষে আদালত আগামী ৭ আগস্ট আদেশের দিন ধার্য করেন।

জিয়া অরফানেজ মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, ট্রাস্টের দুই কোটি ১০ লাখ টাকা এসেছে সৌদি আরব থেকে। প্রকৃতপক্ষে এই অর্থ কুয়েতের আমির অরফানেজ ট্রাস্টের জন্য দিয়েছেন। যেই টাকা লাভসহ (প্রায় পৌনে ৬ কোটি) এখনও ট্রাস্ট ফান্ডে জমা রয়েছে।

মামলার বিবরণীতে জানা যায়, ২০০৮ সালের ৩ জুলাই রমনা থানায় জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা দায়ের করে দুদক। এতিমদের সহায়তা করার উদ্দেশ্যে একটি বিদেশি ব্যাংক থেকে আসা ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ এনে এ মামলা দায়ের করা হয়।

খালেদা ছাড়াও এ মামলার অপর আসামিরা হলেন- বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান, সাবেক সাংসদ ও ব্যবসায়ী কাজী সালিমুল হক কামাল, সাবেক মুখ্যসচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ ও জিয়াউর রহমানের বোনের ছেলে মমিনুর রহমান।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031