সার্টিফাইড কপি না পাওয়ায় রায়ের বিরুদ্ধে আপিল আর জামিনের আবেদন করা যায়নি দুর্নীতির মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের রায়ের ।

বৃহস্পতিবার রায়ের পরপর বিএনপি নেত্রীর আইনজীবীরা রবিবারের মধ্যে আপিল করার কথা জানিয়েছিলেন। আর এ জন্য বৃহস্পতিবারই রায়ের অনুলিপি অথবা ফটোকপি পাওয়ার জন্য আবেদন করেন তারা।

বৃহস্পতিবার রায়ের পর থেকেই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে নেয়া হয়। আর তৃতীয় দিনে রবিবার আদালতের আদেশে তাকে প্রথম শ্রেণির বন্দির মর্যাদা বা ডিভিশন দেয়া হয়।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা আশায় ছিলেন আজকের মধ্যে আপিল করে জামিন আবেদন করতে পারলে দ্রুত তাকে জামিনে মুক্ত করা যাবে।

বিএনপি চেয়ারপারসন দণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদন করলে তিনি জামিনে মুক্তি পাবেন বলেই আশা করছে তার আইনজীবীরা। কিন্তু আপিল ও জামিনের আবেদন করতে না পারায় বন্দী জীবন কিছুটা দীর্ঘায়িত হলো।

বিএনপি চেয়ারপারসনের আইনজীবী জাকির হোসেন ভুইয়া ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘রায়ের কপি আজও আমরা পাইনি। এখনো প্রস্তুত হয়নি বলে ওই আদালতের পেসকার আমাদেরকে জানিয়েছেন। আশা করি কাল পেতে পারি।’

সার্টিফাইড কপি না পেলেও আপিলের কিছু কাজ এগিয়ে রাখছেন খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। কিছু যুক্তি তারা নির্দিষ্ট করেছেন। তবে সার্টিফাইড কপি না পেলে সব কিছু চূড়ান্ত করা সম্ভব নয়।

আইনজীবীরা জানান, সার্টিফাইড কপি রবিবার যোগাড় হলে কোন কোন যুক্তিতে আবেদন করা হবে, সেটি সুনির্দিষ্ট হতে হবে। পূর্ণাঙ্গ রায়টি ৬৩২ পৃষ্ঠার। এটির খুঁটিনাটি পর্যালোচনা করতে হবে। এ জন্যই কিছু সময় লাগবে।

১৯৯১ সালে ক্ষমতায় আসার পর এতিমদের কল্যাণে বিদেশ থেকে আসা দুই কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা অস্তিত্বহীন ট্রাস্টের নামে বরাদ্দ করার অভিযোগে করা মামলায় মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আখতারুজ্জামান।

এ মামলায় খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক রহমানসহ অন্য পাঁচ আসামিকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। তারা হলেন, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য কাজী সালিমুল হক কামাল, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমদ। এদের মধ্যে এর মধ্যে তারেক রহমান, কামাল সিদ্দিকি ও মমিনুর রহমান পলাতক। আর সালিমুল হক কামাল ও শরফুদ্দিন কারাগারে।

খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে আরও একটি মামলার শুনানি শেষ পর্যায়ে। ২০১১ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় এখন যুক্তি উপস্থাপন চলছে। আগামী ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি এই মামলায় যুক্তি উপস্থাপনের দিন নির্দিষ্ট আছে।

এই দুইটি মামলাসহ বিএনপি প্রধানের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মোট মামলা পাঁচটি। আর আন্দোলনের সময় নাশকতা, ভুয়া জন্মদিন পালন, মুক্তিযুদ্ধে শহীদের সংখ্যা নিয়ে বিকৃত তথ্য দেয়া, মানহানিসহ মোট ৩৬টি মামলা আছে খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031