প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন পদ্মা সেতু নিয়ে খালেদা জিয়ার সাম্প্রতিক মন্তব্যের কঠোর সমালোচনা করে , এই ধরনের কান্ডজ্ঞানহীন মন্তব্য করে বেগম জিয়া প্রমাণ করেছেন এই সেতু নির্মাণের কোন ক্ষমতা তার নেই। প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে উদ্দেশ্য করে বলেন, একটি সেতু বানাবার ওই ক্ষমতা তার নাই। এটা ওনার কথার মধ্য দিয়েই উনি বুঝিয়ে দিয়েছেন। নইলে যার মাথায় এতটুকু জ্ঞান-বুদ্ধি আছে, তিনি নিশ্চয়ই সজ্ঞানে একথা বলবেন না। প্রধানমন্ত্রী আজ বৃহস্পতিবার বিকেলে গণভবনে ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে একথা বলেন। ছাত্রলীগের ৭০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সংগঠনের সর্বস্তরের নেতা-কর্মীরা প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গণভবনে যান।
শেখ হাসিনা বলেন, সরকারে এসেছি নিজের ভাগ্য গড়তে নয়, জনগণের ভাগ্য গড়তে। আজকে যখন আমরা নিজেদের অর্থে পদ্মাসেতু করি তখন আপনারা শুনেছেন যে খালেদা জিয়া বক্তৃতা দিচ্ছে- ‘ওই পদ্মা সেতু জোড়াতালি দিয়ে করা হয়েছে, কেউ পদ্মা সেতুতে উঠবেন না।’ প্রধানমন্ত্রী বলেন, পদ্মা সেতু যখন আমরা নির্মাণ করছি সেটাও নাকি জোড়াতালি দিয়ে। তিনি বিএনপি নেত্রীর বিদ্রুপের উত্তরে বলেন, হ্যাঁ একদিকে ঠিক, সেতু তৈরীর জন্য প্রথমে এক একটা পার্ট তৈরী করে এবং সেটা পরে বসায়। যার এইটুকু জ্ঞান নেই একটা জিনিস তৈরী করতে হলে কিভাবে কোন পদ্ধতিতে করা হয়, যার মাখায় ওইটুকু ঘিলু নেই, তিনি কি করে এটি বুঝবেন। তার মাথায় শুধু ঘিলু আছে চুরি করার, টাকা বানানোর আর এতিমের টাকা মেরে খাওয়ার, মানুষ পোড়ানোর, মানুষ হত্যার। গণভবনের সবুজ ঘাসের লনে আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। সংগঠনের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগ এবং সাধারণ সম্পাদক এস এম জাকির হোসেন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন। ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে প্রধানমমন্ত্রী বলেন, মনযোগ দিয়ে লেখাপড়া করতে হবে। সব সময় মনে রাখতে হবে যে, দেশকে আগামীতে নেতৃত্ব দিতে হলে শিক্ষা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। শিক্ষা ছাড়া কখনো নিজেকেও গড়ে তোলা যাবে না। দেশকেও এগিয়ে নেয়া যাবে না। কাজেই ছাত্রলীগের যে মূলনীতি (শিক্ষা, শান্তি, প্রগতি) সেই নীতি ধরেই এগুতে হবে। শিক্ষা গ্রহণ করতে হবে। শিক্ষার আলোকবর্তিকা হাতে নিয়ে শান্তির পথে প্রগতির দিকে এগিয়ে যেতে হবে। ছাত্রলীগের গৌরবোজ্জ্বল ইতিহাস তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, প্রত্যেকের এটা খেয়াল রাখতে হবে যার যার নিজের বাড়িতে গেলে আশপাশে কেউ যদি নিরক্ষর থাকে তাহলে তাকে অক্ষর জ্ঞান দিতে হবে। সেই সাথে ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার প্রতি উৎসাহিত করতে হবে। ছাত্রলীগের প্রত্যেকটি নেতা-কর্মীদের কাছে এটাই থাকবে এই প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীতে আমার অনুরোধ।
