kalabagan_ঢাকা: অত্যন্ত চৌকস ও প্রশিক্ষিত কলাবাগানের হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া খনিরা ছিল । মাত্র ৫ মিনিটেই কিলিং মিশন শেষ করে নির্বিঘ্নে পালিয়ে যেতে সক্ষম হয় তারা। এমনকি যাওয়ার পথের বাধাও দুঃসাহসিকতার সঙ্গে মোকাবেলা করে খুনির দল। খুনিদের দক্ষতায় বিস্ময় প্রকাশ করেছেন পুলিশ ও গোয়েন্দারা।

ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসা পুলিশের আইজিপিসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা বলেছেন, জায়গাটি অত্যন্ত সুরক্ষিত এলাকা। খুনিরা দক্ষ না হলে সেখান থেকে বেরিয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। তাদের দক্ষতায় বিস্ময় প্রকাশ করেন অনেকেই।

খুনিদের হাতে ছিল অত্যাধুনিক ক্ষুদ্র অস্ত্র ও দেশীয় ঝকঝকে চাপাতি। দুষ্কৃতকারীদের হাতে থাকা আগ্নেয়াস্ত্র সাধারণত বিভিন্ন দেশের আইনপ্রয়োগকারী সংস্থা ব্যবহার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ। তারই দুটি অস্ত্র ও একটি চাপাতি পুলিশ উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছে। যা এখন তদন্তের মূল উপজীব্য।

উদ্ধার করা ব্যাগ থেকে দুটি অস্ত্র ছাড়াও একটি মোবাইল ফোন, বাংলা ও আরবি লেখা কিছু কাগজও পাওয়া গেছে। উদ্ধারকৃত মোবাইল ফোনের কললিস্ট, অস্ত্র ও অন্যান্য আলামতের সূত্র ধরেই তদন্তে নেমেছেন গোয়েন্দারা।

এছাড়া ওই ব্যাগে একটি আগ্নেয়াস্ত্র ছিল যার সম্মুখ অংশে ব্যারেলের মতো দুটি ছিদ্র রয়েছে। পেছন অংশে দুটি পিনের সঙ্গে চাবির রিংয়ের ন্যায় রিং স্প্রিং আটকানো। দুই রাউন্ড গুলিভর্তি আগ্নেয়াস্ত্রটি অনুমানিক সোয়া ৬ ইঞ্চি লম্বা। এছাড়াও উদ্ধার করা হয়েছে ১৩ ইঞ্চি লম্বা একটি লোহার ধারালো চাপাতি। যার বাঁটে চিকন সুতা দিয়ে মোড়ানো ছিল।

ঘটনার পরপরই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর একাধিক সংস্থা ঘটনাস্থলের আশপাশের বিভিন্ন অ্যাপার্টমেন্ট থেকে সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে কয়েকটি ক্যামেরা রাস্তা কভার করায় সন্দেহভাজন কিলারদের দেখা গেছে। কিন্তু দূর থেকে চিত্রগ্রহণ হওয়া এবং দুর্বল রেজ্যুলেশন হওয়ার কারণে ঘাতকদের স্পষ্ট কোনো ছবি পাওয়া যায়নি।

বিশেষ একটি গোয়েন্দা সংস্থার একজন কর্মকর্তা জানান, একটি সিসিটিভি ফুটেজে ৪-৫ জনকে স্বাভাবিকের তুলনায় দ্রুতগতিতে পালিয়ে যেতে দেখা গেছে। কিন্তু ছবিগুলো তুলনামূলক অস্পষ্ট। সেগুলো পরিষ্কার করে মুখের অবয়বগুলো সাজানোর চেষ্টা চলছে।

গোয়েন্দা সংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, সিসিটিভির ফুটেজগুলো প্রযুক্তির মাধ্যমে ক্লিন করলে খুনিদের চেহারার কিছু ছাপ পাওয়া যাবে। যা তাদের শনাক্তে সহায়ক হবে বলে জানান তিনি।

অস্ত্র বিষয়ে অভিজ্ঞ ও আইন প্রয়োগকারী সংস্থার একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এসব অস্ত্র সাধারণত বাইরে বিক্রি হয় না। বিভিন্ন দেশে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার লোকজন হালকা ও অত্যন্ত কার্যকর এসব অস্ত্র ব্যবহার করে থাকেন। তিনি বলেন, এসব অস্ত্র উগ্রপন্থী ও জঙ্গিদের হাতে গিয়ে থাকলে এর থেকে বড় ধরনের অঘটনের আশঙ্কার কারণ রয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031