তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু দুর্নীতি নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে খোলা চ্যালেঞ্জ নিয়েছেন । সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে খালেদা জিয়ার কালোটাকা সাদা করা এবং তার ছেলে কোকোর ঘুষের টাকা বিদেশ থেকে ফেরত আনার কথা উল্লেখ করে তিনি এ চ্যালেঞ্জ দেন।

সোমবার ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে ১৪ দলের সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে কথা বলছিলেন জাসদ নেতা ইনু।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘দুর্নীতির বিষয়ে আমরা খোলা চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি দুটি ঘটনায়। বেগম খালেদা জিয়া ক্ষমতায় থাকতে জরিমানা দিয়ে কালো টাকা সাদা করেছেন। তাঁর প্রয়াত ছোট ছেলে ২০ কোটি উপরে টাকা সিঙ্গাপুর থেকে বাংলাদেশে জমা হয়েছে। দুটি ঘটনার সঙ্গে সরকার জড়িত নয়।’

বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের আমলে বাংলাদেশে কাজ পেতে বহুজাতিক কোম্পানি সিমেন্স সে সময়ের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোকে ঘুষ দিয়েছেন বলে বিদেশের আদালতে প্রমাণ হয়েছে। আর এই ঘুষের ২০ কোটি টাকা ২০১২ সালে সিঙ্গাপুর থেকে ফেরত আনে দুদক।

একই সংবাদ সম্মেলনে বিভিন্ন দেশে খালেদা জিয়ার ‘অর্থপাচারের’ অভিযোগ তদন্ত করে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান ১৪ দলের সমন্বয়ক।

ইনু বলেন, ‘আমেরিকান সরকারের মামলার মধ্য দিয়ে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধে রায় হয়েছিল। আজকে আমি ওপেন চ্যালেঞ্জ দিচ্ছি, মওদুদ ভাইসহ যারা কথা বলেন, তারা কালো টাকা সাদা করলো কেন? কোকোর ২০ কোটি টাকা কোথা থেকে আসলে তার কৈফিয়ত দিয়ে অন্য কথা বলবেন।’

তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া ও বিএনপি তাদের শাসনামলে মহা দুর্নীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েছিল।’

‘তারা (বিএনপি) দুর্নীতিকে একটা আর্টে (শিল্প) রূপান্তর করে। দুর্নীতিকে সিন্ডিকেটে রূপ দেয়। তারা মানুষও খুন করে। একাত্তরের খুনি, পঁচাত্তরের বঙ্গবন্ধুর খুনি, একুশে আগস্টের খুনি। জঙ্গি-সন্ত্রাসের খুনিদের আস্তানা হচ্ছে বিএনপি। খালেদা জিয়া সেই সিন্ডিকেটের প্রধান। আমরা দাবি করছি, খালেদা জিয়ার দুর্নীতির সকল ঘটনা গভীরভাবে তদন্ত করে দেশবাসীকে জানানো হোক।’

ইনু বলেন, সরকার বাংলাদেশকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনায়-অসাম্প্রদায়িক পথে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের ধারায় নিয়ে যাচ্ছে। সেই প্রক্রিয়ায় খালেদা জিয়া এবং তার দল বাধা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। অস্বাভাবিক, অগণতান্ত্রিক পথ অবলম্বন করে জঙ্গি-সন্ত্রাসের মধ্য দিয়ে শেখ হাসিনার নিয়মতান্ত্রিক সরকারকে উচ্ছেদ করার চক্রান্ত করেছে। সেই চক্রান্ত অব্যাহত রয়েছে।

১৪ দলের সমন্বয়ক মোহাম্মদ নাসিম, জাতীয় পার্টি জেপি মহাসচিব শেখ শহীদুল ইসলাম, জাসদ (একাংশ) শরীফ নুরুল আম্বিয়া, তরিকত ফেডারেশনের চেয়ারম্যান নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক শাহাদাৎ হোসেন, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য আহমদ হোসেন, খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, আবদুস সোবহান গোলাপ, অসীম কুমার উকিল প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031