গণপূর্ত অধিদপ্তর এর সুযোগ্য প্রধান প্রকৌশলী জনাব মো. আশরাফুল আলম সংশ্লিষ্ট অন্যান্য প্রকৌশলী ও কর্মকর্তাসহ করোনার সাধারণ ছুটি কালীন সময়ে প্রায় প্রতিদিনই অফিল ও সাইট পরিদর্শন করেছেন। দিয়েছেন সময়পোযোগী দিক নির্দেশনা ও করোনামুক্ত থেকে কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের বিভিন্ন সরকারী হাসপাতালে পিসিআর ল্যাব, করোনা। ইউনিট, আসলেশন ইউনিট ইত্যাদি প্রতিষ্ঠাসহ সার্বক্ষণিক বিদ্যুৎ, পানি সরবরাহ ব্যবস্থা নিশ্চিতকরণের কৌশল সমূহ।
মহামারি করোনা মোকাবিলায় ডাক্তার, স্বাস্থ্যকর্মী , পুলিশ সেনাবাহিনী ও অন্যান্য পেশাজীবীদের মতো গণপূর্ত অধিদফতরের প্রকৌশলীরাও জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করছেন। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ কোয়ারেন্টাইন সেন্টার ও আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণের কাজ করতে হচ্ছে গণপূর্তকে।
নিয়মিত ভিডিও কনফারেন্স এর মাধ্যমে প্রতিটি কাজের খোঁজ খবর নিয়েছেন এবং সেই সাথে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তা কর্মচারীদের স্বাস্থ্য রক্ষার বিষয়েও দিয়েছেন দিক নির্দেশনা। তাই তো সুচারুভাবে সমাপ্ত হয়েছে প্রতিটি কাজ যেমন ঢাকা মেডিক্যাল, সলিমুল্লাহ, সোহরাওয়ার্দি, কুয়েত মৈত্রী, মুগদা, নারায়নগঞ্জ ৩০০ বেডসহ সারা বাংলাদেশের সকল সরকারি হাসপাতালে করোনা চিকিৎসায় প্রয়োজনীয় অবকাঠামো সুবিধা।
তার একটি উদাহরণ হলো ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনের আইসোলেশন ইউনিটের কাজটি। ৯ জুন পুলিশ সুপার, ঢাকা জেলা পুলিশ হতে এক ধন্যবাদ বার্তায় দেখা যায় ঢাকা মিল ব্যারাক পুলিশ লাইনে ৫৯(উনষাট) শয্যা বিশিষ্ট আইসোলেশন ইউনিট খুব অল্প সময়ে তৈরি করা হয়েছে যা থেকে গণপূর্ত অধিদপ্তরের প্রকৌশলীদের দূরদর্শিতা ও কর্মতৎপরতার পরিচয় পাওয়া যায়।
এই প্রকল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট নির্বাহী প্রকৌশলী জনাব মো. মাজহারুল ইসলাম, উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী জনাব মো. এস,এম,এ জাহিদ অপু ও উপ সহকারী প্রকৌশলী জনাব সাজেদুল হক এর সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা যায় যে দেশ ও জনগণের স্বার্থে সরকার ঘোষিত সাধারন ছুটি কালীন সময়েও গণপূর্ত অধিদপ্তর এর প্রধান প্রকৌশলী এর দিক নির্দেশনা মোতাবেক প্রায় প্রতিদিন অফিস এবং সাইট পরিদর্শন করেছেন এবং এই প্রতিকূল পরিবেশে পুলিশ বাহিনীর জন্য আইসোলেশন ইউনিট নির্মাণ করেছেন।
কাজের গতি সচল রাখতে ঈদের দিনসহ পুরো দুটিতেই। অত্র অধিদপ্তর সাহসিকতার সাথে দেশের অবকাঠামো নির্মাণ চলমান রয়েছে। একই সঙ্গে করোনা ও ডেঙ্গু প্রতিরোধে মন্ত্রী, এমপিসহ সব ভিআইপি এবং সরকারি বাসভবন ও বিভিন্ন ভবনে জীবাণুনাশক ছিটানোসহ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজও একই সময়ে চলমান রয়েছে।
এ ছাড়া ডেঙ্গু মশা যাতে না হয় সে জন্য অধিদফতরের নিজস্ব ফগার মেশিন দিয়ে এসব এলাকায় মশা নিধনের ওষুধ ছিটানো হচ্ছে। এছাড়াও মহামারি করোনার। প্রাদুর্ভাবের মধ্যে দেশের হতদরিদ্র মানুষের সাহায্যে ও ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী ও তাদের স্বজনদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছেন প্রকৌশলীরা। তার মানবিক আহ্বানে সাড়া দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানটির অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী, তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী, নির্বাহী প্রকৌশলী, উপবিভাগীয় প্রকৌশলী, সহকারী প্রকৌশলী এবং উপসহকারী প্রকৌশলীরা তাদের বৈশাখী ভাতার অর্ধেক (৫০ শতাংশ) মানবতার সেবায় দান। করেছেন।
প্রধান প্রকৌশলী মো. আশরাফুল আলম বলেন, করোনার বিরুদ্ধে এই যুদ্ধে চিকিৎসক নার্সরা হচ্ছেন সম্মুখ যোদ্ধা এবং আমরা সহযোদ্ধা। এই যুদ্ধে গণপূর্ত প্রতিমন্ত্রী ও সচিবের নির্দেশে নিরলসভাবে আমরা কাজ করছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এ যুদ্ধে আমরা জয়ী হব ইনশাল্লাহ।
