খরচ হয়েছিল প্রায় তিন হাজার টাকা। ‘কিডনি জটিলতার কারণে ডাক্তাররা ডায়ালাইসিসের পরামর্শ দেন। এরপর বেসরকারি একটি ক্লিনিকে ডায়ালাইসিস করায়। পরে শুনলাম চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ডায়ালাইসিস সেন্টারে কম দামে ডায়ালাইসিস করানো হচ্ছে। এসে পেলাম স্বল্প দামের ডায়ালাইসিস সেবাটি। এখন পর্যন্ত ১২ সেশন ডায়ালাইসিস সেবা নিয়েছি। প্রত্যেকবার ৪২০ টাকা করে পরিশোধ করতে হয়েছে।’

বৃহস্পতিবার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিচ তলায় স্যানডর ডায়ালাইসিস সেন্টারের সামনে দাড়িয়ে কথাগুলো বলছিলেন নগরীর বায়েজিদের বাসিন্দা আবুল বশর।

তিনি বলেন, বেসরকারি চাকরি করতাম। অসুস্থতার জন্য সেটিও করতে পারছি না। বাসায় অভাব-অনটন। এমন অবস্থায় প্রাইভেট ক্লিনিকে ডায়ালাইসিস করাতে গিয়ে হিমশিত খেতে হয়েছে।’ আবুল বশর বলেন, এটি গরীবে ডায়ালাইসিস সেন্টার। এটির কারণে গরীব কিডনি রোগীরা ডায়ালাইসিস সেবা নিতে পারছে। না হয় চিকিৎসা ছাড়া অনেক রোগী মারা যেতো।

জানা যায়, ২০১৭ সালের শুরুতে হাসপাতালের নিচতলায় ডায়ালাইসিস সেন্টারটি চালু করা হয়। বর্তমানে প্রতিদিন তিন সেশনে ৩১টি মেশিনের মাধ্যমে এ সেন্টারটি সেবা দিয়ে যাচ্ছে। সরকারের সঙ্গে চুক্তি অনুযায়ী হাসপাতালের রোগীরা মাত্র ৪২০ টাকা দামে ডায়ালাইসিস সেবা পাচ্ছে এখান থেকে। অসহায় রোগীদের জন্য রয়েছে ফ্রি ডায়ালাইসিস সুবিধা। বাহিরের রোগীরার ২৩০০ টাকা দামে এ সেবা নিচ্ছেন।

এছাড়াও রোগীরা সেন্টারটিতে সেবা নিতে এসে স্বস্তি প্রকাশ করেছেন। কয়েকজন রোগী বলেন, ভেতরের পরিবেশটা ভালো। চারিদিকে পরিস্কার-পরিচ্ছন্ন। নার্সগুলোর ব্যবহারও ভালো। সবমিলিয়ে ভালো সেবা পাচ্ছে রোগীরা।

এব্যাপারে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা লে. কর্নেল (অব.) আবদুল সালাম সিটিজি টাইমসকে বলেন, বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে ভারতীয় প্রতিষ্ঠান স্যানডরের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুযায়ী ঢাকা ও চট্টগ্রামে ২০১৭ সালে দুটি ডায়ালাইসিস সেন্টার চালু করা হয়। চুক্তির ভিত্তিতে সেন্টারগুলোতে স্বল্প দামে ডায়ালাইসিস সুবিধা দেয়া হচ্ছে। তবে স্বল্প দামের সেশনগুলো নির্ধারিত।

‘চুক্তি অনুযায়ী চট্টগ্রামের সেন্টারটি বছরে প্রায় ১০ হাজার স্বল্প দামের সেশন পাবে। ২০১৮ সালে যার দাম ৪২০ টাকা। এছাড়া অন্যান্য রোগীরা নির্ধারিত দামে ডায়ালাইসিস সেবা পাবেন।’

অন্যদিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো. জালাল উদ্দিন সিটিজি টাইমসকে বলেন, পিপিপি’র ভিত্তিতে সরকার সেবাটি চালু করে। প্রথম বছর আমরা ভালো সাড়া পেয়েছি।

‘২০১৭ সালে আমাদের সেশন দেয়া সাড়ে ছয় হাজার। পরে চুক্তির হিসেবে দেখি, আমরা আরো বেশি সেশন পাচ্ছি। এরপর বিষয়টি জানিয়ে মন্ত্রণালয়ের চিটি দিলে, তারা এটি সমাধান করে।’

‘২০১৭ সালে দ্ইু দফা আমরা প্রায় দশ হাজার সেশন পেয়েছি। এ বছর থেকে পুরোপুরি দশ হাজার সেশন পাচ্ছি। এরপরও যদি সংকট হয়। তাহলে আমরা চাহিদার কথা কর্তৃপক্ষকে জানাবো।’

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031