আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, ‘জঙ্গিদের ব্যাপারে সরকার কঠোর অবস্থান নিয়েছে। গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিমের চ্যাপটার ক্লোজ করা হলো। জিয়ার চ্যাপটারও ক্লোজ করা হবে। কোনো জঙ্গি আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নজর এড়াতে পারবে না।’
শনিবার বিকালে রাজশাহীর বাগমারা উপজেলার ভবানীগঞ্জে ‘জঙ্গিবাদ ও সন্ত্রাস নির্মূলে আমাদের করণীয়’ শীর্ষক এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এ কথা বলেন।
শনিবার সকালে নারায়ণগঞ্জে একটি বাড়িতে জঙ্গি সন্দেহে অভিযান চালায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় ‘জঙ্গিদের’ সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে গুলশান হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ হিসেবে পরিচিত তামিম চৌধুরীসহ তিন ‘জঙ্গি’ নিহত হন। গুলশান হামলার আরেক ‘মাস্টারমাইন্ড’ জিয়াকে খুঁজছে পুলিশ।
এখন জঙ্গি তৎপরতা চালানো সম্ভব হবে না জানিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘এখন জঙ্গিদের হয় আত্মসমর্পণ করতে হবে, না হয় পালাতে হবে। দেশে কোনো ধরনের জঙ্গি কার্যক্রম চালাতে গেলে তাদেরকে অন্তত হাজারবার ভাবতে হবে।’
দেশে যেন কোনোভাবেই জঙ্গিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে সে জন্য সবাইকে সতর্ক হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে জঙ্গিবাদের কোনো ঠাঁই হবে না। এ ব্যাপারে সবাই সতর্ক হোন, রুখে দাঁড়ান। প্রতিটি মানুষ নিজ নিজ জায়গা থেকে জঙ্গিবাদ রুখে দিন। আমরা সবাই মিলে জঙ্গিদের নির্মূল করবোই করবো।’
মন্ত্রী বলেন, ‘বিগত জোট সরকারের আমলে এই বাগমারা থেকেই দেশে জঙ্গিবাদের উত্থান হয়েছিল। বিএনপি-জামায়াত নিজেদের স্বার্থে এখানে জেএমবি সৃষ্টি করেছিল। বর্তমানে যারা দেশে জঙ্গিবাদী কার্যক্রম চালাচ্ছে তাদের যোগসূত্রও বিএনপি-জামায়াতের সঙ্গে।’
উপজেলা আওয়ামী লীগ আয়োজিত ওই আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার এনামুল হক। এতে আরও বক্তব্য দেন, সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য আখতার জাহান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আসাদুজ্জামান আসাদ, বাগমারা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাকিরুল ইসলাম সান্টু প্রমূখ।
আলোচনা সভা শেষে বিকাল ৫টায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বাগমারায় নবনির্মিত একটি ফায়ার সার্ভিস স্টেশন ও দুটি পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উদ্বোধন করেন। পরে রাতে তিনি জেলা প্রশাসকের সম্মেলনকক্ষে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ক এক সভায় অংশ নেন। এ সময় তিনি জেলার শীর্ষ সরকারি কর্মকর্তাদের নানা বিষয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
