বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান বিডকোর প্রজেক্ট ইনচার্জ প্রকৌশলী সিদ্দিক আহম্মদকে অপহরন করে হত্যার ৫ মাস পর রহস্য উদঘাটন ও অপহরনকারী চক্রের মুলহোতাসহ ৩ ঘাতককে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা জেলা দক্ষিন ডিবি পুলিশ কেরানীগঞ্জে । গ্রেপ্তারকৃতরা হলো দলনেতা মোঃ রাসেল(৩০), হিরো হাওলাদার(৩১)ও মোঃ তাজুল ইসলাম ওরফে তাজু(৩৩)। আজ (রোববার) দুপুর দেড়টায় কদমতলী গোলচত্বর এলাকায় ডিবি কার্যালয়ে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(অপরাধ) মোহাম্মদ সাইদুর রহমান লিখিত বক্তব্যে জানান, গত বছরের ২রা আগষ্ট দক্ষিন কেরানীগঞ্জের পানগাও এলাকায় বসুন্ধরা মাল্টিফুড প্রোডাক্টস লিমিটেডের অফিস থেকে রাত ৮টায় রাজধানীর মীরপুরের বাসায় যাওয়ার পথে প্রকৌশলী সিদ্দিক আহম্মদ অপহরন হন। অপহরনকারীরা কোম্পানীর এমডি দিারুল আলম ও প্রকৌশলীর ছেলে কামরুল ইসলামের নিকট ২ লাখ টাকা মুক্তিপন দাবি করে। ৩রা আগষ্ট অপহরনকারীরা প্রকৌশলী সিদ্দিক আহম্মদকে বসুন্ধরার পরিত্যাক্ত একটি প্লটের ভিতর আটকে রেখে তাকে নির্মমভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে ওই রাতেই তারা একটি সিএনজি যোগে লাশটি আইনতা এলাকায় ১০ শয্য হাসপাতালের পাশ ফেলে রেখে যায় ।
পরের দিন সেখান থেকে প্রকৌশলী সিদ্দিক আহম্মদের লাশ উদ্ধার করে দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ। একই দিন মামলা হয়। পরে মামলাটি ডিবি পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়। ডিবি পুলিশ আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহার করে ঢাকা মহানগরী ও বরিশালের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে সংঘবদ্ধ অপহরনকারী চক্রের মুলহোতাসহ তিন ঘাতককে গ্রেপ্তার করে। অপহরনকারীরা নয় সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ চক্র। এরা সিএনজি দিয়ে বিভিন্ন মানুষকে অপহরন করে ছিনতাইসহ মুক্তিপণ আদায় করে আসছিল। বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন কেরানীগঞ্জ সার্কেল ঢাকা জেলা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রামানন্দ সরকার,দক্ষিন কেরানীগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মনিরুল ইসলাম, ডিবির ওসি শাহজামান, ডিবির ওসি তদন্ত নাজমুল হাসান ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এস আই মোস্তাফিজুর রহমান।
