খালেদা জিয়ার রায়ের মাধ্যমে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হলো না বরং বিএনপি’র অভ্যন্তরীণ সঙ্কট ঘনীভূত হবে, সেটির লক্ষণ আমরা টের পাচ্ছি। খালেদা জিয়ার রায়ের মাধ্যমে দেশে রাজনৈতিক সংকট সৃষ্টি হয়েছে বিএনপি নেতাদের এমন দাবি নাকচ করে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, তিনি শুক্রবার সকালে গাজীপুরের ভোগড়া বাইপাসে বিআরটিএ প্রকল্প কাজ পরিদর্শন করে এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, খালেদা জিয়ার মামলা সরকার করেনি, হস্তক্ষেপও নেই। বেগম জিয়া যদি নিয়মিত হাজিরা দিতেন তবে এ মামলার অনেক আগেই রায় হয়ে যেত। এখন তিনি নিজেই দেরি করে নির্বাচনকে সামনে রেখে এই পর্যন্ত নিয়ে এসেছেন। এজন্য বেগম জিয়া ও তার বিজ্ঞ আইনজীবীরা দায়ী।
সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়ার অনুপস্থিতিতে বিএনপি’র ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, যার আগে ৭ বছরের সাজা হয়েছে, মানি লন্ডারিংয়ে তিনি দণ্ডিত ব্যক্তি। এ মামলায় তার দশ বছরের দণ্ড ও ২ কোটি টাকা জরিমানা হয়েছে। বিএনপি’র গঠনতন্ত্র থেকে কেন ৭ ধারা তুলে দিয়েছে তা এখনতো পরিষ্কার। দুর্নীতিবাজরা তাদের নেতা হতে বাধা নেই।
সড়ক পরিদর্শনের সময় মন্ত্রীর সঙ্গে ঢাকা বিভাগীয় তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী সবুজ উদ্দিন খান, গাজীপুর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ, গাজীপুর মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি এডভোকেট আজমত উল্লাহ খান, সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম, গাজীপুর সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী ডিএকেএন নাহিন রেজাসহ সড়ক ও জনপথের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ওবায়দুল কদের বলেন, বিএনপি’র গঠণতন্ত্রে আছে- দণ্ডিত ব্যক্তি বিএনপি’র নেতা হতে পারবে না, এমপি হতে পারবে না। কুখ্যাত ব্যক্তি বিএনপি’র নেতা হতে পারবে না, এমপি হতে পারবে না। কিন্তু এই রায়ের আগে বিএনপি তড়িঘড়ি করে রাতের আঁধারে কলমের এক খোঁচায় তাদের সংবিধানের ৭ ধারা বিসর্জন দিলো, নির্বাসনে পাঠাল। এর দ্বারা এটাই প্রমাণ করে যে বিএনপি’র দুর্নীতিপরায়ণ হতে আর কোনো অসুবিধে নেই। যে কোনো দুর্নীতিবাজ বিএনপি’র নেতা হতে পারে। খালেদা জিয়ার এই মামলা ও রায়ের ব্যাপারে এ সরকারের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, এ সরকারের আমলে মামলটি হয়নি। মামলাটি হয়েছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে। যখন মাইনাস টু ফর্মুলা কার্যকর করার নীল-নকশা হয়েছিল। সে সময় আমাদের নেত্রীও ছিলেন মাইনাস টু পরিকল্পনার ব্লু প্রিন্টের অংশ। ওই সময় দুদক মামলাটি করেছিল। তখন আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছে, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধেও মামলা হয়েছিল। আমাদের নেত্রীর বিরুদ্ধে তদন্ত করে কোনো সাক্ষ্য প্রমাণ, তথ্য প্রমাণ না পাওয়ায় আদালতই সেগুলো প্রত্যাহার করে নিয়েছে।
