প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা একাধিক প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন বর্ষায় চট্টগ্রামে আগের মতো জলাবদ্ধতা হবে না উল্লেখ করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেছেন- চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসন ও নগরকে দৃষ্টিনন্দন হিসেবে গড়ে তুলতে । এসব প্রকল্পের কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা সমস্যার স্থায়ী সমাধান হবে। আগামী বর্ষায় কোথাও যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয়, সেজন্য সিটি করপোরেশন বিশেষ পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম শুরু করবে। গতকাল শনিবার চট্টগ্রাম মহানগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন ও চলমান উন্নয়ন কর্মকান্ড বিষয়ক মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ আশাবাদের কথা জানান। মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম, মেয়র ও সিডিএ চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘বর্ষার আগে অতি দ্রুত কোনো কাজটা করতে হবে, সেটা চিহ্নিত করেন। প্রধানমন্ত্রী চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা দেখতে চান না। আপদকালীন সমস্যা দ্রুত সমাধান করুন, যাতে বর্ষায় চট্টগ্রামের মানুষ দুর্ভোগে না পড়ে। চট্টগ্রামের উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী যথেষ্ট আন্তরিক।
বাণিজ্যিক রাজধানী চট্টগ্রামকে অবহেলিত রেখে, চট্টগ্রামের সমস্যা বিদ্যমান রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের উন্নয়নের স্বপ্ন দেখেন না বলে জানান স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী সব সময় চট্টগ্রামবাসীর পাশে রয়েছেন। সিডিএ’র যেসব প্রকল্প চলমান আছে সেগুলোর গুণগত মান অক্ষুন্ন রেখে কাজের গতি ত্বরান্বিত করতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে বলেও জানান মন্ত্রী।
মন্ত্রী বলেন, জলাবদ্ধতা নিরসনে চলমান প্রকল্পের রক্ষণাবেক্ষণ সঙ্গত কারণে চসিকের কাছে থাকবে এবং এর সক্ষমতা আমরা আশা করি সৃষ্টি করতে পারব। এ বাবদ বছরে ৫১ কোটি টাকা খরচের যোগান প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, চসিকের অনেকগুলো আয়বর্ধক প্রকল্প আছে সেখান থেকে চসিক সহজেই এর যোগান দিতে পারবে। আমার মনে হয়- এমন কোন দু:সংবাদের কথা চিন্তা করার কোন কারণ নেই যাতে জলাবদ্ধতা নিয়ে আগের মত ভাবতে হবে।
চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে বিভাগীয় কমিশনার মো. আব্দুল মান্নানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলও উপস্থিত ছিলেন।
সভা শেষে মন্ত্রী জানান, জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পসহ চট্টগ্রামকে একটি দৃষ্টিনন্দন নগরে পরিণত করতে সিটি করপোরেশন ও সিডিএ যাতে সমন্বিতভাবে কাজ করে সেই বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তাদের মধ্যে সমন্বয় আছে।
স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, বর্ষায় যাতে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি না হয় এবং জনজীবনে যাতে দুর্ভোগ না হয়, সেই বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে। সিটি করপোরেশন আগামী কয়েকদিনের মধ্যে একটি বিশেষ পরিচ্ছন্নতা অভিযান শুরু করবে। আমরা আশাবাদী, আগের মতো জলাবদ্ধতা হবে না। তিনি বলেন, সিটি করপোরেশন ও সিডিএ’র সাথে বসেছি। সমন্বিতভাবে ধাপে ধাপে চট্টগ্রামকে যাতে একটি দৃষ্টিনন্দন নগরে পরিণত করা যায়, সেই বিষয়ে আমরা আলোচনা করেছি। মন্ত্রী বলেন, চট্টগ্রাম দিয়েই বাংলাদেশের অর্থনীতি পরিচালিত হয়। চট্টগ্রাম বন্দরের কারণেই আমরা স্বপ্ন দেখছি। স্বপ্ন পূরণে কাজ করার সুযোগ পাচ্ছি। তাই মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই এখানে এসেছি। সবার সঙ্গে মতবিনিময়ের আয়োজন করেছি। আমরা এখানে চট্টগ্রামের সমস্যা চিহ্নিত করবো। সমস্যা সমাধানে মতবিনিময় করবো। সমাধানের পথ খুঁজে নেবো।
মন্ত্রী বলেন, ইতোমধ্যে নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে পানি উন্নয়ন বোর্ডের গৃহীত প্রকল্প ২৭ ফেব্রুয়ারি একনেকে অনুমোদন হয়েছে। অবিলম্বে সেই প্রকল্পসহ চলমান প্রকল্পগুলোর কাজ শেষ হলে চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিরসনে একটা স্থায়ী সমাধান হবে, ইনশাআল্লাহ।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু এ চট্টগ্রাম নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলেন। তারই কন্যা প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনাও এই চট্টগ্রাম নিয়ে আশাবাদী। চট্টগ্রামকে তিনি আলাদা চোখে দেখেন। যতবার চট্টগ্রামে এসেছেন ততবারই তিনি উন্নয়নের বার্তা নিয়ে এসেছেন। একারণে চট্টগ্রামের প্রতিটি প্রকল্প তিনি পাশ করিয়ে দেন। চট্টগ্রামের একটি উন্নয়ন প্রকল্পও তিনি বাদ দেননি। গত একনেক সভায়ও চট্টগ্রামের জলাবদ্ধতা নিয়ে হাজার কোটি টাকার একটি প্রকল্প তিনি অনুমোদন দিয়েছেন।
তিনি বলেন, দেশের উন্নয়নে চট্টগ্রাম এখন মাইলফলক। সঠিকভাবে অবকাঠামো উন্নয়ন হলে চট্টগ্রাম হবে সত্যিকার অর্থে আধুনিক নগরী। বাংলাদেশের অর্থনীতির মূল চালিকা শক্তি চট্টগ্রাম বন্দর । এ বন্দরকে বাঁচাতে হলে চট্টগ্রামের উন্নয়নের কোন বিকল্প নেই। সবাই সম্মিলিতভাবে কাজ করলে চট্টগ্রাম দ্রুত এগিয়ে যাবে। দেশের উন্নয়নও ত্বরান্বিত হবে। সমস্যা যেখানে সমাধানও সেখানে।
নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসন প্রকল্পগুলো সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে শীঘ্রই সমন্বয়কারীর দায়িত্ব দেয়া হবে। সহসা আরো একটা সভা হতে পারে তিন মন্ত্রী ও সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান নিয়ে। সমন্বয় করতে হবে সংশ্লিষ্ট সংস্থার সঙ্গে। কারণ চট্টগ্রাম নগরীর জলাবদ্ধতা নিরসনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক), চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (চউক) ও পানি উন্নয়ন বোর্ড(পাউবো) বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। তাদের প্রত্যেকের আলাদা আলাদা প্রকল্প অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এর মধ্যে কোন কোন প্রকল্প একনেকে পাশ হয়েছে মাত্র। তাদের প্রায় সবগুলোর মেয়াদ ২০২২ সালের আগে শেষ হবার কথা নয়। দীর্ঘস্থায়ী প্রকল্প হিসেবে প্রতিটির কাজ চলমান।
সভায় উপস্থিত বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, উন্নয়ন কাজ করতে গিয়ে কেউ কারো উপর দোষ চাপাবেন না। রশি টানাটানি করে দেশের ক্ষতি করবেন না। কোন কাজে সমস্যা হলে আমার দপ্তর আছে সেখানে যোগাযোগ করবেন। আপনাদের ভেতরে কোন সমস্যা যাতে না হয়।
মন্ত্রী আরো বলেন, বুড়িগঙ্গা, কর্ণফুলী নদীর তীরে উচ্ছেদ শুরু হয়েছে। এ উচ্ছেদ অভিযান থেমে থাকবে না। নদীগুলোকে সচল রাখতে যা যা দরকার তা করা হবে। কর্ণফুলী নদীর সাথে ৫৬টি খাল আছে। সবগুলো সংস্কার করে কর্ণফুলীর নব্যতা ফিরিয়ে আনতে হবে। এজন্য প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। তুরাগ, বুড়িগঙ্গা, শীতলক্ষ্যা ও কর্ণফুলীসহ সব নদীর নাব্যতা ফিরিয়ে আনা ও দূষণ রোধে মাস্টার প্ল্যান করা হচ্ছে। শিগগিরই মাস্টার প্ল্যান বাস্তবায়নে কমিটির সদস্যরা কাজ শুরু করবেন।
চট্টগ্রামের সাবেক সিটি মেয়র এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কথা স্মরণ করে মন্ত্রী বলেন, তিনি ছিলেন চট্টগ্রামের অভিভাবক। তিনি চট্টগ্রামকে নিয়ে স্বপ্ন দেখতেন। আজ তাঁরই ছেলে মন্ত্রীর গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব পালন করছেন। আজ তিনি বেঁচে থাকলে অনেক খুশি হতেন। আশা করি- তার অনুজ সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালাম, সিডিএ চেয়ারম্যান আবদুচ ছালামের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম আরও সুন্দর হবে, হবে আরও দৃষ্টিনন্দন।
এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের সিনিয়র সচিব এসএম গোলাম ফারুক, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দীন, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) শংকর রঞ্জন সাহা, অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন) নুরুল আলম নিজামী, জেলা প্রশাসক মো. ইলিয়াস হোসেন এবং সিটি করপোরেশন, চউক, চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একেএম ফজলুল্লাহ, মহানগর আওয়ামী লীগ সভাপতি মাহতাব উদ্দিনসহ জনপ্রতিনিধি, সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার দপ্তর প্রধানগণ উপস্থিত ছিলেন।
সিটি মেয়র আ. জ. ম নাছির উদ্দিন বলেন, আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর পাঁচটা প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। প্রত্যেকটা প্রকল্পে রাস্তার হলে তার পাশে ড্রেন সংযুক্ত থাকবে। তার মধ্যে কিছু কিছু এলাকায় ড্রেনও ছিল না। আমি নিজে তৈরীর উদ্যোগ নিয়েছি। এছাড়া বঙ কালভার্ট নির্মাণের ব্যবস্থাও গ্রহণ করেছি কিছু কিছু জায়গায়। এসব কিছুই করেছি জলাবদ্ধতা নিরসনে। জলাবদ্ধতা নিরসনে বিভিন্ন সংস্থার একাধিক প্রকল্প এখন চলমান। প্রকল্পগুলো একসাথে বাস্তবায়ন হলে তখন এলাকার ড্রেনেজ ব্যবস্থা নিশ্চিত হবে। এখানে আবার কিছু রেগুলেটর স্থাপন করা হবে। সেগুলো দেখার বিষয়ে ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটা সার্ভে আছে। প্রকল্পগুলো তদারকি এবং মেন্টেনেন্স করার জন্য ৫.৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার প্রয়োজন। এগুলো সম্পন্ন হলে তখন বলা যাবে জলাবদ্ধতার একটা স্থয়ী সমাধান হয়েছে।
মেয়র বলেন, সভায় এসব বিষয় আলোচনা করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট সবার সাথে সমন্বয় আছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হয়েছে। কোথাও সমস্যা থাকলে তার সমাধান দেয়ার চেষ্টা করা হয়েছে। কারণ এ চারটি প্রকল্পের বাস্তবায়ন করছে তিনটি আলাদা সংস্থা। এতে কোনরকম যাতে বিলম্ব না হয়, জটিলতা তৈরী না হয় এ বিষয়ে সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
তিনি বলেন, প্রকল্প বাস্তবায়নে অবশ্যই যথেষ্ট সময়ের প্রয়োজন। প্রতিটি প্রকল্পের জন্য সুনির্দিষ্ট পরিকল্পনা, ডিজাইন, জমি অধিগ্রহণ এবং আর্থিক চাহিদা অনুযায়ী নির্দিষ্ট সময়ে তা বাস্তবায়ন করতে অবশ্যই সময়ের প্রয়োজন হবে। জলাবদ্ধতায় পুরোপুরি সুফল পেতে সময় লাগবে। রাতারাতি প্রকল্পের কাজ শেষ করতে চাইলে তা অসম্ভব। তবে ধীরে ধীরে সুফলও পাচ্ছে নগরবাসী।
চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান আবদুচ ছালাম বলেন, চারবছরের প্রকল্পে এবছরই সুফল পাওয়া যাবে, একথা বলা যথেষ্ট কঠিন বিষয়। তবে নগরবাসী আগের বছরের তুলনায় একটু উন্নতির দিকে যাবে এটা নিশ্চিত করতে পারি। আর ক্রমান্বয়ে একসময় তা থাকবে না। আমরা চসিক, ওয়াসার সমন্বয়ে সুফলের আশায় কাজ করে যাচ্ছি। আমার চারটি প্রকল্পের কাজ চলছে। এর মধ্যে চউকের একটি প্রকল্প যেটা কর্ণফুলীর তীরে, যাতে জোয়ারের পানি ভেতরে ঢুকতে না পারে। তিন বছরের এ প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। অন্যটা জলাবদ্ধতা প্রকল্প, একাজটা করছে সেনাবাহিনী। আর একটি হচ্ছে পাউবোর। সেখানে পতেঙ্গা থেকে কালুরঘাট পর্যন্ত ফ্য্লাড ওয়াল ও রেগুলেটার করবে যা অনেকটা স্লুইজ গেটের মত। তা আমাদের প্রকল্পের সাথেই এ কাজ করবে। মোট রেগুলেটারের মধ্যে সেনাবাহিনী করছে ৫টা, চউক করছে ১২টা, পাউবো করছে ২৩টা ও চসিক করছে ১টাসহ সর্বমোট ৪১টা রেগুলেটার হবে। সাগরের পাড়ে রিংরোডের সাথে ১১টা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে।
তিনি বলেন, কিভাবে চট্টগ্রামবাসীকে জলাবদ্ধতামুক্ত করা যায় তা নির্ধারণ করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী বিষয়টা অনুধাবন করে অনেকগুলো প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছেন। এর আগে কোন সরকার এতগুলো প্রকল্প অনুমোদন দিয়েছে বলে আমার মনে হয় না। চউক, চসিক ও পাউবো সব মিলিয়ে ১২ হাজার কোটি টাকা বরাদ্দ শুধু জলাবদ্ধতা নিরসনের জন্য। এখন প্রয়োজন সঠিক পরিকল্পনায় সময়মত বাস্তবায়ন। বিগত দশ বছরে টাকার জন্য কোন প্রকল্প বন্ধ হয়েছে তার কোন নজির নেই। চট্টগ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করতে চাই- জলাবদ্ধতা দূর করে কাজ শেষ হবে না। নগরবাসীর প্রতি একটা মেসেজ হচ্ছে- স্থায়ীভাবে জলাবদ্ধতা দূরীকরণে নগরবাসীর মাইন্ডসেট পরিবর্তন করতে হবে।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
