ওমরা করে দেশে ফিরে এক ছেলের বাসায় গিয়েছিলেন মা । সেখানে দেখা করতে এসেছিলেন আরেক ছেলে। তার কয়দিন পরই ওই নারীর শরীরে শনাক্ত হলো করোনাভাইরাসের সংক্রামণ। খবর পেয়ে দুই ছেলের বাসাকে লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন। ঘটনাটি চট্টগ্রাম শহরের। ওই নারীকে এখন কক্সবাজারে আইশোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
লকডাউন করা দুটি বাসার একটি নগরীর চান্দগাঁও আবাসিক এলাকায় এবং অন্যটি বাকলিয়ায়।
চান্দগাঁওয়ে ছেলের বাসায় কক্সবাজারের করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নারী একদিন অবস্থান করেছিলেন। বাকলিয়ার বাসাটি ওই নারীর আরেক ছেলের।
মঙ্গলবার রাতে নগরীর নিউ চান্দগাঁও আবাসিক এলাকার একটি ভবন লকডাউন করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চান্দগাঁও থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আতাউর রহমান খন্দকার। বাকলিয়া থানা পুলিশ কালামিয়া বাজার এলাকার একটি ভবন লকডাউন করার কথা জানিয়েছেন।
জানা গেছে, কক্সবাজারে মঙ্গলবার করোনাভাইরাসে আক্রান্ত এক রোগী শনাক্ত হয়েছেন। তাকে কক্সবাজারে আইসোলেশনে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। ওমরাহ পালন করে তিনি গত ১৩ মার্চ দেশে ফিরেন এবং চান্দগাঁও ছেলের বাসায় উঠেন। করোনা আক্রান্তের সংস্পর্শে আসায় বাড়ি লকডাউন করতে বলা হয়েছে। এরপর তিনি ছিলেন কক্সবাজারের খুটাখালী ও জেলা সদরের টেকপাড়ায় বড় ছেলে বাসায়। পরে তাকে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবশ্য, ওই নারী বাকলিয়ায় ছেলের বাসায় যাননি। কিন্তু ছেলে তার সংস্পর্শে যাওয়ায় সেটিও লকডাউন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত ১৮ মার্চ শ্বাসকষ্ট ও জ্বরের উপসর্গ নিয়ে কক্সবাজার সদর হাসপাতাল ভর্তি করা হয় চকরিয়ার ৭৫ বছর বয়সী ওই নারীকে। পরে তার শরীর থেকে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় আইডিসিআর এ পাঠানো হলে মঙ্গলবার ওই নারী করোনা আক্রান্ত বলে জানায় তারা।
