এখন চট্টগ্রামে অবস্থান করছে বাংলাদেশ এবং শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দল একটি টেস্ট ও দুটি টি-২০ ম্যাচ খেলতে। আজ রোববার সকালে হালকা অনুশীলন করেছে দু‘দল। দু‘দলের জন্যই নেয়া হয়েছে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা। আগামী বুধবার দু‘দলের মধ্যকার একমাত্র টেস্ট ম্যাচ মাঠে গড়াবে।
এর আগে নভো এয়ারের একটি ফ্লাইট যোগে শনিবার সন্ধ্যায় প্রথমে চট্টগ্রাম পৌঁছায় বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের সদস্যরা। আধাঘণ্টা পরে পরবর্তী ফ্লাইটে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে এসে পৌঁছান অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুসের নেতৃত্বাধীন শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের সদস্যরা।
চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দর থেকে কঠোর নিরাপত্তার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কান ক্রিকেট দলের ক্রিকেটারদের চট্টগ্রাম মহানগরীর জিইসি মোড়ের হোটেল পেনিনসুলায় নিয়ে আসা হয়।
আগামী ৪ ফেব্রুয়ারি বুধবার থেকে চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা টেস্ট সিরিজের একমাত্র ম্যাচটিতে মুখোমুখি হবে দু‘দল।
এরপর ১২ ও ১৪ ফেব্রুয়ারি দুটি টি-২০ ম্যাচে অংশ নেবে সফরকারী দল ও টাইগাররা।
বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট সিরিজ উপলক্ষে চট্টগ্রামজুড়ে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি)।
চট্টগ্রাম বিভাগীয় স্টেডিয়ামের ম্যানেজার ফজলে বারী খান জানান, শনিবার সন্ধ্যায় পৌঁছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা দলের ক্রিকেটাররা চট্টগ্রামে মহানগরীর পেনিনসুলা হোটেলে অবস্থান করছেন। হোটেলের নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে।
আজ রোববার সকাল ও বিকেলে ভাগ করে দু‘দলই জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে হালকা অনুশীলন করেছে। এ সময় দু‘দলের জনই বিশেষ নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ। কাল মঙ্গলবার থেকে সবকটি খেলার টিকেট ছাড়া হবে বলে জানান ফজলে বারী খান।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার চৌধুরী বলেন, বাংলাদেশ-শ্রীলঙ্কা সিরিজটি ইতিমধ্যে বিশেষ নিরাপত্তা অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত হিসেবে বিবেচিত বিধায় খেলোয়াড়দের চলাচলের সময় নিরাপত্তার স্বার্থে রাস্তায় যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে এবং পার্কিং থাকবে না। এতে নগরবাসীর সাময়িক অসুবিধা হতে পারে।
এছাড়া উক্ত খেলা উপলক্ষে স্টেডিয়ামে দর্শকগণ আগ্নেয়াস্ত্র, ছুরি, খেলনা অস্ত্র, বিস্ফোরক দ্রব্য, ধাতব রড, লাঠি জাতীয় দ্রব্য, লেজার পয়েন্টার, আয়না, গ্যাস, বডিস্প্রে জাতীয় কন্টেইনার, মাদকদ্রব্য, মদ (এলকোহল) জাতীয় পানীয়, কাঁচের বোতল, জীবজন্তু, শিংগা জাতীয় বাদ্যযন্ত্র, খাদ্য-দ্রব্য, বাণিজ্যিক অথবা প্রফেশনাল ক্যামেরা, ভিডিও ক্যামেরা ইত্যাদি বহন নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
