ব্যান্ড সংগীতের কিংবদন্তি শিল্পী আইয়ুব বাচ্চু রূপালি গিটার ছেড়ে চলে গেছেন । বাংলা রক সংগীতের তুমুল জনপ্রিয় দল ‘এলআরবি’র প্রতিষ্ঠাতা ও কিংবদন্তি শিল্পী বাচ্চুর জন্ম শহর চট্টগ্রাম। চিরনিদ্রায় তিনি শায়িত আছেন জন্ম শহরেই।
তাঁর সম্মানে এবার চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়কে ঘোষণা করা হবে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর হিসেবে। এমনটাই জানান চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন
চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়কে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর হিসেবে ঘোষণা করে সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন গণমাধ্যমে বলেন, আইয়ুব বাচ্চু চট্টগ্রামের সন্তান হলেও পুরো বাংলাদেশের গর্ব। তাঁকে সম্মান জানিয়ে চট্টগ্রাম নগরীর প্রবর্তক মোড়কে আইয়ুব বাচ্চু চত্বর হিসেবে ঘোষণা করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।
আইয়ুব বাচ্চু চত্বরটি কেমন হবে, অন্তর্জালে তার একটি নমুনাও দেখা গেছে। উপমহাদেশের প্রখ্যাত গিটারিস্টদের একজন মনে করা হতো আইয়ুব বাচ্চুকে। গিটারের সুরে তিনি শ্রোতা দর্শকদের মোহাবিষ্ট করে রাখতেন। সেই ‘সাইন’-ই থাকছে আইয়ুব বাচ্চুর নামে ঘোষিত চত্বরে। যেখানে চত্বরের মাঝখানে থাকবে আইয়ুব বাচ্চুর সেই রূপালী গিটার!
গেল বছরের ১৮ অক্টোবর দেশ-বিদেশের অসংখ্য ভক্ত-শ্রোতাদের কাঁদিয়ে চলে গেছেন আইয়ুব বাচ্চু। শেষ বিদায়ে লাখো মানুষের ভালোবাসায় সিক্ত হয়েছিলেন তিনি। চট্টগ্রামে তাঁর জানাজায় অংশ নিয়ে সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন আইয়ুব বাচ্চুর স্মৃতি সংরক্ষণ করার উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছিলেন। তারই ধারাবাহিকতায় বন্দর নগরে হতে যাচ্ছে ‘আইয়ুব বাচ্চু চত্বর’।
উল্লেখ্য, ১৯৬২ সালের ১৬ আগস্ট চট্টগ্রাম শহরে জন্মগ্রহণ করেন গুণী এ শিল্পী। সংগীত জীবনের দীর্ঘ চার দশকে অসংখ্য হৃদয় ছুঁয়ে যাওয়া গান আইয়ুব বাচ্চু উপহার দিয়েছেন শ্রোতাদের। তার সৃষ্টি অনেক গান মানুষের আন্তরে গেঁথে আছে।
আইয়ুব বাচ্চুর সংগীত জগতে যাত্রা হয় ১৯৭৮ সালে ‘ফিলিংস’ ব্যান্ডের মাধ্যমে। শ্রোতা-ভক্তদের কাছে এবি নামেও পরিচিত তিনি। ডাক নাম রবিন। মূলত রক ঘরানার কণ্ঠের অধিকারী হলেও আধুনিক, ক্লাসিক্যাল ও লোকগীতি দিয়েও শ্রোতাদের মুগ্ধ করেছেন তিনি।
তার কণ্ঠে গাওয়া উল্লেখযোগ্য গানগুলোর মধ্যে রয়েছে, ‘চলো বদলে যাই’, ‘রূপালি গিটার’ ‘কষ্ট পেতে ভালোবাসি’ ‘ঘুম ভাঙা শহরে’, ‘হকার’ ‘অবাক হৃদয়’ ‘আমিও মানুষ’ ‘কষ্ট কাকে বলে’, ‘সুখ’, ‘মন চাইলে মন পাবে’সহ অসংখ্য গান।
