আদালত নাইকো দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে চার্জগঠনের শুনানি শুরু করেছে।

সোমবার ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ মাহামুদুল কবীরের আদালতে এই শুনানি শুরু হয়।

এদিন দুদকের পক্ষে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে প্রথমে চার্জগঠনের প্রস্তাব করেন দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মোশাররফ হোসেন কাজল। এরপর আসামিদের মধ্যে সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইনের পক্ষে তার অব্যাহতির আবেদন করে শুনানি হয়।

এদিন মামলাটির জামিনে থাকা আসামি খালেদা জিয়াসহ সাতজনের পক্ষে অব্যাহতির আবেদন দাখিলের জন্য সময় আবেদন করা হলে বিচারক আগামী ১১ ডিসেম্বর পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য করেন।

এদিন খালেদা জিয়া ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।

অপর আসামিদের মধ্যে আসামি সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী একে এম মোশাররফ হোসেন, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, বাপেক্সের সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া (সিলভার সেলিম) জামিনে থোকে আদালতে উপস্থিত ছিলেন। বিতর্কিত ব্যবসায়ী তারেক রহমানের বন্ধু গিয়াস উদ্দিন আল মামুনকে কারাগার থেকে আদালতে হাজির করা হয়।

এছাড়া মামলার অপর তিন আসামি নাইকোর দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, তখনকার প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক পলাতক রয়েছেন।

২০১৫ সালের ২৯ নভেম্বর একই আদালতে খালেদা জিয়া আত্মসমর্পণ করে জামিন চাইলে আদালত তার জামিন মঞ্জুর করেন।

২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর বিরুদ্ধে তেজগাঁও থানায় মামলাটি দায়ের করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। মামলাটির তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।

চার্জশিটের বৈধতা চ্যলেঞ্জ করে খালেদা জিয়া হাইকোর্টে রিট আবেদন করলে ২০০৮ সালের ৯ জুলাই হাইকোর্ট নিম্ন আদালতের কার্যক্রম স্থগিত করে রুল জারি করেন। ২০১৫ সালের ১৮ জুন হাইকোর্ট রুল ডিচার্জ করে স্থাগিতাদেশ প্রত্যাহার করেন।

ক্ষমতার অপব্যবহার করে তিনটি গ্যাসক্ষেত্র পরিত্যক্ত দেখিয়ে কানাডীয় কোম্পানি নাইকোর হাতে ‘তুলে দেওয়ার’ অভিযোগে রাষ্ট্রের প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার ক্ষতির অভিযোগে মামলাটি করা হয়। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ৯ সেপ্টেম্বর প্রথম হাইকোর্ট থেকে জামিন পান খালেদা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031