র‌্যাব সাভারের আশুলিয়ায় জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘিরে রাখা বাড়ির ভেতর থেকে ধরা দেয়া সন্দেহভাজন চার জঙ্গির পরিচয় জেনেছে । বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক মুফতি মাহমুদ খান  এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

শনিবার গভীর রাত থেকে আশুলিয়ার নয়ারহাট চৌরাবালি এলাকার ইব্রাহিমের মালিকানাধীন ওই একতলা বাড়িটি জঙ্গি আস্তানা সন্দেহে ঘেরাও করে র‌্যাব-৪ এর সদস্যরা। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই বাড়ির মালিককে র‌্যাব হেফাজতে নেওয়া হয়।

দুপুরের আগে সন্দেহভাজন আস্তানা থেকে প্রথমে দুই জন, পরে এক জন এবং সবশেষ আরও একজন ‘জঙ্গি’ বের হয়ে আসেন। এরপর র‌্যাব তাদেরকে নিজ হেফাজতে নেয়।

ধরা দেয়া এই সন্দেহভাজন জঙ্গি কারা-জানতে চাইলে র‌্যাব কর্মকর্তা মুফতি মাহমুদ খান বলেন, ‘গ্রেপ্তার চারজনের মধ্যে একজন দলনেতা হিসেবে কাজ করছেন। তার নাম মোজাম্মেল হক। বাকি তিন জন হলেন-রাশেদুন্নবী, ইরফানুল ইসলাম এবং আলমগীর। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে- তারা সরোয়ার-তানিম গ্রুপের সদস্য।’

প্রাথমিকভাবে আটক চার জন এই তথ্য জানালেও তাদের কাছ থেকে জঙ্গিদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আরও তথ্য পাওয়ার আশা করছে র‌্যাব। এ জন্য এদেরকে নিবিঢ়ভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও জানান মুফতি মাহমুদ খান। তিনি বলেন, ‘যাদেরকে আমরা ধরেছি তাদের জিজ্ঞাসাবাদে পুরো বিষয়টি সম্পর্কে পরিষ্কার ধারণা পাওয়া যাবে। এখনই নিশ্চিত করে কিছু বলা যাচ্ছে না।’

র‌্যাব কর্মকর্তা জানান, আটক চার জন গত মাসের দিকে পোশাক শ্রমিক পরিচয়ে মাসে আড়াই হাজার টাকায় বাড়িটি ভাড়া নেয়। এ সময় তারা জাতীয় পরিচয়পত্র জমা দেননি। বাড়ির মালিকও তাদেরকে পোশাক শ্রমিক ভেবে বিষয়টি নিয়ে তেমন গুরুত্ব দেননি।

এই অভিযানকে রক্তপাতহীন করবে র‌্যাব আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়েছে বলেও জানান বাহিনীটির আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক। তিনি বলেন, ‘আমরা চেয়েছিলাম মিনিমাম বল প্রয়োগ করে তাদের ধরতে। এজন্য সময় নিয়েছিলাম। প্রথমে একজন আত্মসর্পণ করেছে। তার মাধ্যমেই আমরা অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করেছি।’

‘গত রাতে আমরা বাড়িটি ঘেরাও করলেও সবাইকে জীবিত ধরার চেষ্টা করেছি বলেই আমরা অভিযানে যাইনি। তারপরও দুপুর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়ে আমরা সতর্কতার জন্য ফায়ার করেছি। তারপর তারা সবাই আত্মসমর্পণ করেছে। কারণ পালানোর কোনো অপশন ছিল না।’

এই আস্তানায় আর কেউ ভেতরে আছে কি না- জানতে চাইলে র‌্যাব কর্মকর্তা বলেন, ‘চারজনকেই গ্রেপ্তার করা গেছে। এর বাইরে আর কেউ নেই।’

চার জন ধরা দিলেও অভিযানটা এখনও শেষ হয়নি বলেও বেলা দুইটার দিকে জানান মুফতি মাহমুদ খান। বলেন, ভেতরে এখনও বিস্ফোরক রয়ে গেছে। সেগুলো অপসারণ করতে হবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031