ঢাকার ১ নম্বর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক কাজী আব্দুল হান্নান রায় ঘোষণা করেন। গত বছরের ৫ই জুলাই সাড়ে ৭টার দিকে রাজধানীর ওয়ারীর নবনির্মিত একটি ভবনের নবম তলার খালি ফ্ল্যাটের ভেতর সায়মাকে (৭) মৃত অবস্থায় পাওয়া যায়। পরের দিন সায়মার বাবা আব্দুস সালাম বাদী হয়ে ওয়ারী থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন। ওই ভবনের ছয় তলায় পরিবারের সঙ্গে থাকত সায়মা। বাবা আব্দুস সালাম নবাবপুরের একজন ব্যবসায়ী। দুই ছেলে ও দুই মেয়ের মধ্যে সবার ছোট সায়মা।

শিশু সায়মা পাশের ফ্ল্যাটে যায়। এরপর খালি ফ্ল্যাটের ভেতর গলায় রশি দিয়ে বাঁধা ও মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। ময়না তদন্তে প্রাথমিকভাবে সায়মার শরীরে ধর্ষণের আলামত মিলেছে। ধর্ষণের পর তাকে গলায় রশি পেঁচিয়ে শ্বাসরোধে মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়।

ময়না তদন্তে তার যৌনাঙ্গে ক্ষতচিহ্ন, মুখে রক্ত ও আঘাতের চিহ্ন এবং ঠোঁটে কামড়ের দাগ পাওয়া যায়।

এই ঘটনায় আজ একমাত্র আসামি হারুন আর রশিদের মৃত্যুদ- দিয়েছেন আদালত।

রায়ে মামলার একমাত্র আসামির সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদ- হওয়ায় সন্তোষ প্রকাশ করেছেন সায়মার মা সানজিদা আক্তার ও বাবা আব্দুস সালাম। তারা এই রায় দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানান সরকারের কাছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031