পুলিশ আটক করেছে চট্টগ্রামের সানশাইন গ্রামার স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্রী তাসফিয়া আমিন হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে তার ফেসবুক বন্ধু আদনান মির্জাকে । পরে আদনানসহ ছয়জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাতনামা আরো পাঁচ-ছয়জনকে আসামি করে পতেঙ্গা থানায় মামলা করেছেন তাসফিয়ার বাবা মো. আমিন।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সৈকত মিরাজ, আশিক মিজান, ইমতিয়াজ সুলতান ইকরাম, মো. মোহাইন ও মো. ফিরোজ।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন পতেঙ্গা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) গাজী ফৌজুল আজিম। তিনি জানিয়েছেন, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ মর্গে তাসফিয়ার ময়নাতদন্ত শেষে আজ দুপুরে তার মরদেহ পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে।
পতেঙ্গা থানার পুলিশ জানায়, মঙ্গলবার বিকেলে নগরীর ওআর নিজাম রোডের বাসা থেকে বের হয় তাসফিয়া আমিন। এরপর বন্ধু আদনান মির্জার সঙ্গে বের হয়ে গোলপাহাড় মোড়ের একটি রেস্টুরেন্টে আইসক্রিম খায় দুজন। পরে ট্যাক্সি নিয়ে বেরিয়ে পড়ে দুজন।
চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের (সিএমপি) বন্দর জোনের এডিসি আরেফিন জুয়েল জানান, নগরীর এলিমেন্টারি স্কুলের নবম শ্রেণির ছাত্র আদনান মির্জাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। হত্যার ঘটনায় আরো কারা কারা জড়িত জানার চেষ্টা চলছে।
গতকাল বুধবার সকালে পতেঙ্গা সমুদ্র সৈকত এলাকার ১৮ নম্বর ঘাট থেকে তাসফিয়া আমিনের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় লাশটি উপুড় হয়ে পাথরের ওপর পড়া ছিল।
