জাতায় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য কাজী ফিরোজ রশিদ সংসদে নিজ দলের ভূমিকা নিয়ে আবারো ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন । তিনি বলেছেন, জনগণ আমাদের বিরোধী দল মনে করে না। মনে করবেই বা  কি করে? আমরা কথা বলতে পারি না। আমি ১৭ অনুচ্ছেদের কারণে  নিজ দলের  বিপক্ষে ভোট দিতে পারি না। তিনি বলেন, সরকার হিমালয়ের উপরে উঠে যদি মনে করে আকাশ খুব কাছে। আসলে আকাশ তো কাছে না। সরকার মনে করছে জনগণ খুব কাছের, আসলে জনগণ তো কাছের না। জনগণ কারও না। জনগণ এইগুলো দেখে। দেখে একজনকে বেছে নেয়। সামনে নির্বাচন। তিনি আরও বলেন, দেশের কোথাও সুশানের ইঙ্গিত পাচ্ছি না। এটা কিসের আলামত? আমরা চুপ করে  থাকি। আমার কথা কম বলি। আমাদের বিরোধী দল বলেন, আর সরকার বলেন। আমাদের কি মনে করেন আমরা জানি না। জনগণ আমাদের বিরোধী দল মনে করেন না। এখানে আমার নেত্রী বসা আছেন, আমি বেশী কিছু বলতে চাই না। আপনি (স্পিকার) আমাদের কি মনে করেন সেটাই আমাদের প্রশ্ন। জনগণ আমাদের বিরোধী দল মনে করে না, কারণ আমরা কথা বলতে পারি না। মঙ্গলবার সংসদের ১৬তম অধিবেশনে অনির্ধারিত আলোচনায় অংশ নিয়ে এভাবেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। তিনি বলেন, ব্যাংকের শত শত কোটি টাকা লুট হয়ে গেল? কোন কিছু বের করতে পারলো না। ব্যাংকের ওপর মানুষের কোনো বিশ্বাস নেই। একদিন পরেই বাজেট আসছে। এই যে ঘাটতি? এই ঘাটতি জনগণ কেনো মিটাবে। এই টাকাতো জনগণের টাকা। কারা লুটপাট করছে। কারা এজন্য দায়ী। আজ পর্যন্ত তার কোনো হিসাব পেলাম না। আমরা কথা বলি অর্থমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী থাকেন না। আমাদের কথা আকাশ শোনে, জনগণ শোনে। তিনি বলেন, ব্যাংকের ভয়াবহ অবস্থা। কৃষি ব্যাংক, বেসিক ব্যাংক, সোনালী ব্যাংক, রাজশাহী কৃষি উন্নয়ন ব্যাংক, অগ্রণী, রূপালী ব্যাংক। এছাড়া মূলধন ঘাটতির তালিকায় আইসিবি ইসলামী ব্যাংকের নাম রয়েছে।  এসব ব্যাংকের মূলধন নেই। ব্যাংক চলবে কি করে? কাজী ফিরোজ রশিদ বলেন, ক্ষমতায় থাকলে দুটি জিনিসের অভাব হয় না। উপদেশ দেয়া আর চাটুকার তোষামদকারী এবং বাঁশ দেয়া। দেশে গণতন্ত্র চলছে। অবাধ গণতন্ত্র যে যা ইচ্ছা বলতে পারছেন। কিন্তু আসল ঘটনা কি সুশাসন আছে? কোথাও সুশাসন নাই। সুশাসন থাকলে এই অরাজকতা চলতো না। আজ সর্বক্ষেত্রে অরাজকতা। আমরা যাব কোথায়। এই সংসদে যা কিছু বলতে পারি বাইরে তার থেকেও কম বলি। তিনি বলেন, আজ বাংলাদেশ ব্যাংক যে প্রতিবেদন দিয়েছে সেটা ভয়াবহ। অর্থনীতির জন্য অশনি সংকেত।  এই লুটপাট সরকারের পাশের লোক না হলে কেউ করতে পারে না। এখানে কেউ লুটপাট করতে পারে না।  এখন কথায় কথায় বলে আমরা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী। যেখানে যাবেন শধু চেতনা জাগে। সরকার ক্ষমতায় আসলেই এসমস্ত লোকের চেতনা জাগে। চেতনার অভাব হয় না। সরকারকে পরামর্শ দেয়া, বাঁশ দেয়ার লোকের অভাব হয় না। সমস্ত টাকা কুক্ষিগত করছে একটি মহল। ভিওআইপি’র নামে হাজার হাজার কোটি টাকা পাচার হয়েছে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031