বিএনপি অর্থ আত্মসাতের মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার কারাদণ্ড হওয়ায় জনগণ ক্ষুব্ধ বলে মনে করে । জনগণের আন্দোলনের রোষে সরকার এখন ভয় পাচ্ছে বলেও মনে করে দলটি।
শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজশাহীতে সংবাদ সম্মেলন করে এ কথা বলেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে মহাসমাবেশ আয়োজন উপলক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
নগরীর মালোপাড়ায় মহানগর বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে নজরুর ইসলাম খান বলেন, ‘আমাদের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনকে বাধাগ্রস্ত করে সরকার ভুল করছে। বেগম জিয়াকে রাজনৈতিক প্রতিহিংসামূলকভাবে সাজা দেয়া হয়েছে। এটি জনগণের কাছে পরিষ্কার। জনগণ এখন ক্ষুব্ধ।’
নজরুল বলেন, ‘কোনো গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে কোনো দল প্রতিবাদ সভা বা প্রচারণা করতে পারবে না এটি গণতন্ত্রহীনতা। বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন সভা সমাবেশে সরকার বাধা দিচ্ছে। রাজশাহীর মাটি বিএনপির ঘাঁটি হিসেবে পরিচিত। এখানে সবধরনের নির্বাচনে সবসময় বিএনপিই বিজয়ী হয়। অথচ এখানেও আমাদের নামমাত্র সমাবেশের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।’
সরকার বেগম জিয়াকে কারাগারে রেখেই নির্বাচন করার চেষ্টা করছে দাবি করে নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘সরকার যে অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের কথা বলছে সেই নির্বাচন তখনই সম্ভব যখন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচন হবে।’ তাই বর্তমান সংসদ ভেঙে দিয়ে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবি জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহ-সভাপতি বরকতুল্লাহ বুলু, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা মিজানুর রহমান মিনু, সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল কুদ্দুস তালুকদার দুলু, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক শাহীন শওকত, মহানগর বিএনপির সভাপতি ও সিটি মেয়র মোহাম্মদ মোসাদ্দেক হোসেন বুলবুল, সাধারণ সম্পাদক শফিকুল হক মিলন, জেলা বিএনপির ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মহসীন আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
