বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন মৃত্যুর কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিলেন । সেখান থেকে তাকে ফেরাতে চিকিৎসক ও মেডিকেল স্টাফরা যে লড়াই করেছেন তার জন্য তিনি ঋণ স্বীকার করেছেন। তিনি বলেছেন, আমার এ জীবনের জন্য তাদের কাছে আমি ঋণী। তাকে সেইন্ট থমাস হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। সেখানে তাকে যে সেবা দেয়া হচ্ছে তাকে তিনি দৃষ্টান্তমুলক বলে আখ্যায়িত করেছেন। বৃটেনের একটি অনলাইন ট্যাবলয়েড পত্রিকায় এ কথা বলা হয়েছে। শনিবার দিবাগত রাতেও তিনি লন্ডনে অবস্থতি ওই হাসপাতালে রাত কাটান। এ নিয়ে সপ্তম দিন তিনি ওই হাসপাতালে।

এ রাতে তিনি বন্ধুবান্ধবদের কাছে মেডিকেল স্টাফদের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন। বলেছেন, তাদেরকে শুধু ধন্যবাদ দেয়াই যথেষ্ট নয়। তার বন্ধুরা বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে প্রায় হেরেই গিয়েছিলেন। তার এক মুখপাত্র বলেছেন, তিনি ক্রমশ উন্নতির দিকে যাচ্ছেন। সামান্য হাঁটতে পেরেছেন। দু’দিন আগে তাকে আইসিইউ থেকে বের করা হয়। এ সময় চিকিৎসকরা তাকে ফোন ব্যবহার করতে দেন। সঙ্গে সঙ্গে তিনি ফোন করেন অন্তঃসত্ত্বা পার্টনার ক্যারি সায়মন্ডসকে। ৩২ বছর বয়সী ক্যারি সায়মন্ডস কয়েক সপ্তাহের মধ্যে বরিস জনসনের সন্তান প্রসব করবেন। গত ২৭ শে মার্স থেকে তারা আলাদা আলাদা অবস্থান করছেন। কারণ, ওইদিনই করোনার কারণে আইসোলেশনে চলে যান বরিস জনসন। তারপর জনসন যখন হাসপাতালে তখন তার কাছে নিজের লেখা একখানা প্রেমপত্র পাঠিয়ে দেন ক্যারি সায়মন্ডস। সঙ্গে তাদের অনাগত সন্তানের একটি স্ক্যান করা ছবি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031