বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন হাসপাতাল থেকে মুক্তি পেয়েছেন । সেখান থেকে তিনি ছুটে গেছেন তার নিজের বাসভবন চেকারস-এ। সেখানেই আগামী এক সপ্তাহ থাকবেন। হাসপাতাল থেকে মুক্তি পাওয়ার পর তিনি তার যতœ নেয়া নার্সদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়েছেন। বলেছেন, তারা দিনরাত আইসিইউতে তার পাশে ছিলেন। তারা অতো তৎপর হয়ে সেবা না দিলে ফল ভিন্ন হতে পারতো। অর্থাৎ মারা যেতে পারতেন বরিস জনসন। ওই দুই নার্সের একজন হলেন ৩৫ বছর বয়সী জেনি ম্যাকগি এবং ২৯ বছর বয়সী লুইস পিতারমা।
তারাই আইসিইউতে বরিস জনসনকে সার্বক্ষণিক দেখাশোনা করেছেন। তাকে
অক্সিজেন দিয়েছেন। আজ প্রথমবারের মতো তাদের ছবি প্রকাশিত হয়েছে বৃটিশ
মিডিয়ায়। নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তারা বরিস জনসনকে সেবা দিয়েছেন।
তাদেরকে অজেয় বলে ঘোষণা দিয়েছেন জনসন। লন্ডনের সেইন্ট থমাস হাসপাতালের
মেডিকেল স্টাফদের প্রতি তিনি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। এই হাসপাতালেই গত
সাতদিন তিনি ঘাতক করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। তবে হাসপাতাল থেকে
মুক্তি পাওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসনকে দেখা গেছে তার প্রেমিকা ক্যারি
সায়মন্ডসের সঙ্গে একই গাড়িতে। এ সময় তাদের মুখে কোনো মাস্ক ছিল না। এ নিয়ে
বেশ সমালোচনা হচ্ছে বৃটেনে।
আবেগজড়িত বরিস জনসন বলেছেন, জাতীয়
স্বাস্থ্য স্কিমের সদস্যরা আমার জীবন বঁাঁচিয়েছেন। এতে কোনোই সন্দেহ নেই। এ
ঘটনাটা অন্য কিছু ঘটতে পারতো। নার্স জেনি এবং লুইসের প্রশংসা করে বরিস
বলেন, যখন এক পর্যায়ে আমার শরীর আর চলছিল না,তখন আমাকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন
দেয়া হলো। এসবই হয়েছে ওদের ওই রাতের প্রতিটি সেকেন্ডের পর্যাবেক্ষণে। তারা
ওই রাতে শুধু আমাকে নিয়েই ভেবেছে। আমার যতœ নিয়েছেন। আমার প্রয়োজনীয় সরবরাহ
ইঞ্জেকশনের মাধ্যমে দিয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর কথায় খুব খুশি নার্স জেনি। তার
ভাই রব ম্যাকগি বলেছেন, জেনি আবার কাজে ফিরে গেছেন রাতের শিফটে। এজন্যই তো
সে প্রশিক্ষণ নিয়েছে। মানুষের প্রয়োজনের সময় তাদের পাশে থাকার অঙ্গীকার
করেছে সে।
