হোয়াইটওয়াশ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে। দিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজেও অভিন্ন ফল। দলের এমন বাজে পারফরম্যান্সে গোটা দেশ মর্মাহত। অথচ এই কঠিন অবস্থার মধ্যেই টিম ম্যানেজমেন্টের নিয়ম ভেঙে ক্যাসিনোতে(ক্যাসিনো হলো-এমন একটি প্রোমদ হাউজ যেখানে জুয়া, মদ, নারী রাতভর উন্মুক্ত থাকে আগতদের জন্য) ছুটে গেলেন বাংলাদেশ দলের তিন ক্রিকেটার তাসকিন আহমেদ, নাসির হোসেন ও শফিউল ইসলাম।

রবিবার ইস্ট লন্ডনে শেষ ওয়ানডে ম্যাচে ২০০ রানে শোচনীয়ভাবে হেরে যায় বাংলাদেশ। ম্যাচ শেষ হবার ঘণ্টাখানেক পরই তিন ক্রিকেটার চলে যান নগরীর একটি ক্যাসিনোতে। রাত দশটার মধ্যে হোটেলে ফেরার কথা থাকলেও তারা ফিরেন রাত সোয়া এগারটার পর। যেটা টিম ম্যানেজমেন্টের স্পষ্ট নিয়মভঙ্গ। তবে তারা প্রোমদে অংশ নিয়েছেন বা জুয়া খেলেছেন-সেটা জানা যায়নি।

বাংলাদেশ দলের নিয়মিত ম্যানেজার খালেদ মাহমুদ সুজনের পরিবর্তে এবার দলের সঙ্গে ম্যানেজার হিসেবে যান মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। তিনি প্রধান নির্বাচকও বটে। তবে ঘটনাটি ঘটে নান্নুর অগোচরে। সোমবার নতুন ভেন্যুর উদ্দেশ্যে রওনা হবার আগে খেলোয়াড়রদের কয়েক ঘটনার জন্য ছুটি দিয়েছিলেন তিনি। হোটেলে ফেরার শেষ সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছিল রাত দশটা। জানা গেছে, অন্যরা ওই সময়ের আগে ফিরলেও ওই তিন ক্রিকেটারের ফিরতে ফিরতে বেজে যায় রাত সোয়া ১১টা। ক্যাসিনোতে তারা বেশ সময় কাটান বলে জানা গেছে।

সিরিজ চলার সময় অনুমতি সাপেক্ষে টিম হোটেলের বাইরে গিয়ে খাবার খাওয়ার নিয়ম অছে বটে কিন্তু এসব আপত্তিকর স্থানে যাবার অনুমতি নেই। শুধু বাংলাদেশ দলের জন্য নয় বিশ্বের অপরাপর দলের খেলোয়াড়দের জন্য এই নিয়ম প্রযোজ্য।

এদিকে তিন ক্রিকেটারের ক্যাসিনোতে যাওয়া এবং দশটার অনেক পরে হোটেলে ফেরায় বিস্মিত মিনহাজুল আবেদীন নান্নু। পরদিন সকাল তিনি বিষয়টা জানতে পারেন। ব্যাপারটা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে জানান প্রধান নির্বাচক ও ভারপ্রাপ্ত ম্যানেজার। নান্নু বলেন, ‘ওরা রাতের খাবার খেতে গিয়েছিল। সেখানে নাকি ক্যাসিনো ছিল। ওখানে ডি ভিলিয়ার্সেএবং রাবাদও ছিল। তবে ব্লুমফন্টেইনে পৌঁছে ওদের এ ব্যাপারে বিস্তারিত জিজ্ঞাসা করব।’

২০১৫ বিশ্বকাপের সময় শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে দেশে ফেরত পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল পেসার আল আমিনকে। শৃঙ্খলা ভঙ্গের কারণে শাস্তি পেতে হয়েছিল সাকিব আল হাসানকেও।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031