লন্ডন থেকে ঢাকা, কে কোথায় যাচ্ছেন, কী করছেন, তার সবই জানা। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ভোটে ক্ষমতায় যাওয়ার ‘রঙিন খোয়াব’ উবে গেছে বলে বিএনপি ‘ষড়যন্ত্রের কলকাঠি’ নাড়ছে। শনিবার রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে যুবলীগ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি বলেন, সুপ্রিম কোর্টের রায় নিয়ে গর্ত থেকে বের হয়ে লাফালাফি করছে বিএনপি। কয়েক দিন লাফালাফি করে এখন তারা বুঝতে পেরেছে ক্ষমতার রঙিন খোয়াব আবারও কর্পূরের মতো উবে গেছে। তাই তারা ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে। বিদেশে বসে বিএনপি সরকারকে হটানোর ষড়যন্ত্র করছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, সব জানি আমরা। কোথায়, কারা কারা যাচ্ছে, কী আলাপ হচ্ছে? লন্ডনের খবর, দুবাইয়ের খবর, ব্যাংককের খবর, কী কী শলা-পরামর্শ হচ্ছে, কোন কোন পথ খোঁজা হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকারকে হটানোর জন্য। এসব খবর এই তথ্যপ্রবাহের যুগে গোপন থাকে না। সব আমরা জানি। কারা কারা এ ষড়যন্ত্রের কলকাঠি নাড়ছে, সব খবর আমাদের কাছে আছে। তাদের ভোটকেন্দ্রে যাওয়ার লোকও থাকে না। যদি জামায়াত না থাকত, ভোটকেন্দ্রেও বিএনপির লোক থাকত না। জামায়াতকে নিয়ে তারা এখন পুরনো খেলায় মেতে উঠেছে। যুবলীগের নেতাকর্মীদের ঐক্যবদ্ধ থেকে ষড়যন্ত্র মোকাবিলার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, প্রস্তুত হয়ে যান, বিএনপি আবার ক্ষমতায় এলে ২০০১ সালের চেয়েও ভয়ঙ্কর অবস্থা ফিরে আসবে। বিএনপি উত্তরাঞ্চলে কোনো ত্রাণ দেয়নি দাবি করে ওবায়দুল কাদের বলেন, দুর্গত এলাকার কোনো মানুষ বলতে পারেনি বিএনপি ত্রাণ নিয়ে কোন এলাকায় আছে। ফটোসেশন করে চলে এসে এখন সরকারের বিরুদ্ধে বিষোদগার করছে।
আলোচনা সভায় যুবলীগের চেয়ারম্যান ওমর ফারুক চৌধুরী সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায়ের সমালোচনা করতে গিয়ে প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহাকে ‘ভূতে পেয়েছে’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি সাহাবুদ্দীন বিচারপতি থেকে প্রেসিডেন্ট হয়ে বঙ্গভবনে বসেই ভগবান থেকে ভূতে পরিণত হয়েছিলেন। একইভাবে প্রধান বিচারপতি হয়েই তিনি (বিচারপতি সিনহা) ভগবান থেকে ভূতে পরিণত হয়েছেন। সাহাবুদ্দীন যেভাবে জিয়ার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছিলেন, ঠিক একইভাবে এগিয়ে যাচ্ছেন প্রধান বিচারপতি। যুবলীগের প্রকাশনা সম্পাদক ইকবাল মাহমুদ বাবলুর সঞ্চালনায় শোক দিবসের আলোচনা সভায় বক্তব্য দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভিসি নাসরিন আহমাদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি এএসএম মাকসুদ কামাল, যুবলীগ সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য শহীদ সেরনিয়াবাত, মুজিবুর রহমান চৌধুরী, ঢাকা দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি ইসমাঈল চৌধুরী সম্রাট প্রমুখ।
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
