গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ড. জাফরুল্লাহ চৌধুরীর করোনা থেকে মুক্তি মিললেও নিউমোনিয়ার সমস্যা এখনো রয়ে গেছে। গত কয়েকদিন সবকিছু ভালো চললেও এখন তার ফুসফুসের সংক্রমণ বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চিকিৎসকরা।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় জাতীয় ঐক্যফ্রন্টের দপ্তর প্রধান জাহাঙ্গীর আলম মিন্টু তার চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে গণমাধ্যমকে এই তথ্য জানান।
গণস্বাস্থ্য হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদ কাছ থেকে পাওয়া তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, ডা. জাফরুল্লাহর ফুসফুসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তাকে নতুন করে এন্টিবায়োটিক দিতে হচ্ছে। শরীর খুবই দুর্বল। নিয়মিত কিডনি ডায়েলাইসিস করছেন।
তবে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার পর শ্বাসকষ্ট থাকায় অক্সিজেন দিতে হলেও এখন আর তা দিতে হচ্ছে না বলে জানান মিন্টু। তিনি বলেন, ‘গলার ব্যাথার জন্য কথা বলতে কষ্ট হচ্ছে। তাই ইশারায় আর লিখে তিনি কথার উত্তর দেন। চিকিৎসকরা তাকে কথা বলতে নিষেধ করেছেন। তার শরীরে করোনা ভাইরাস ইনফেকশন নাই তবে ব্যাকটেরিয়া ইনফেকশন অনেক বেশি। তাই তাকে আরেও বেশ কিছুদিন দিন হাসপাতালে থেকে চিকিৎসা নিতে হবে। তবে তিনি মানসিকভাবে অনেক উজ্জীবিত।’
গত ২৫ মে করোনায় আক্রান্ত হওয়ার খবর নিজেই গণমাধ্যমকে জানান ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। এরপর থেকে নিজের প্রতিষ্ঠিত গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে অধ্যাপক ডা. ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মামুন মোস্তাফি এবং অধ্যাপক ডা. নাজিব মোহাম্মদের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসাধীন আছেন। তার চিকিৎসার জন্য অনলাইন মেডিকেল বোর্ডে ইংল্যান্ড ও ভারতের চিকিৎসকরাও আছেন।
তবে এরইমধ্যে তিনি করোনা থেকে মুক্তি পেয়েছেন। গণস্বাস্থ্যের কিট এবং পিসিআর ল্যাবের পরীক্ষায় তার করোনা নেগেটিভ এসেছে।
