সারাদেশের মতো চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। গতকাল বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল ৯টা থেকে জেলা ও উপজেলার ১৫টি কেন্দ্রের ৩০টি বুথে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। ভোটগ্রহণ চলে দুপুর ২টা পর্যন্ত। সাধারণ সদস্য আসনে ২, , , , , , ১০, ১১, ১৪, এবং ১৫ নং ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ হয়েছে। মোট ভোটার ১ হাজার ৭৬৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৭৪০ জন (৯৮.৪১%) ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। ১৩ নং ওয়ার্ডে সাধারণ সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত হয়ে যাওয়ায় গতকাল এ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ হয়নি। সংরক্ষিত আসনে ২, ৪ এবং ৫ নং ওয়ার্ডে ভোট গ্রহণ হয়েছে। মোট ১ হাজার ৫৩৮ জন ভোটারের মধ্যে ১ হাজার ৫০৪ জন ভোটার (৯৭.৭৯%) ভোট দিয়েছেন।

চেয়ারম্যান পদে উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম এ সালাম বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ১ নং ওয়ার্ড মীরসরাইয়ে শেখ মোহাম্মদ আতাউর রহমান, ৭ নং রাউজান ওয়ার্ডে কাজী আবদুল ওহাব, ৮নং রাঙ্গুনিয়া ওয়ার্ডে কামরুল ইসলাম চৌধুরী ও ১২ নং ওয়ার্ডে এস এম আলমগীর চৌধুরী৪ জন সাধারণ সদস্য পদে এবং সংরক্ষিত ১নং ওয়ার্ডে রেহেনা আক্তার ও ৩ নং ওয়ার্ডে দিলুয়ারা ইউসুফএ ২ জন সংরক্ষিত সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। ভোটগ্রহণে ১৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬০ জন পোলিং অফিসার নিয়োজিত ছিলেন। নির্বাচন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে নগরীর একটিসহ জেলার ১৫টি কেন্দ্রে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার ছিল। ১৪ সদস্য পদে ৫৩ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন। রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন সাংবাদিকদের জানান, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে ১৫ কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়েছে। ভোট গণনা শেষে সদস্য পদে ১৩ জন বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। আদালতের নির্দেশে নির্বাচন কমিশন বাঁশখালী ১৩ নম্বর কেন্দ্রে সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। তবে সংরক্ষিত মহিলা সদস্য পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনে নগরীর ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ৪ নম্বর কেন্দ্রে সাধারণ সদস্যপদে নগরের প্রতিনিধি হিসেবে আওয়ামী লীগের জাফর আহমেদ ৬০ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এ কেন্দ্রে ১৬০ ভোটারের মধ্যে ১৫৮ জনপ্রতিনিধি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র, সিটি কর্পোরেশনের ৪১ জন ওয়ার্ড কাউন্সিলর, ১৫ জন সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর এবং হাটহাজারী উপজেলার মেখলা, গড়দুয়ারা, উত্তর মাদার্শা, ফতেপুর, চিকনদণ্ডী, দক্ষিণ মাদার্শা, শিকারপুর ও বুড়িশ্চর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও মহিলা মেম্বাররা ৪ নম্বরে কেন্দ্রে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।

ভোটগণনা শেষে গতকাল বেলা আড়াইটায় কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার ফারজানা আবেদীন সাংবাদিকদের জানান, ৪ নম্বর কেন্দ্রে বুধবার সকাল ৯টা থেকে শুরু হয়ে বেলা ২টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। নির্বাচনে ১৬০ জন ভোটারের মধ্যে ১৫৮ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। বেসরকারিভাবে সাধারণ সদস্যপদে জাফর আহমেদ (টিউবওয়েল) ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দ্বীদের মধ্যে আওয়ামী লীগ নেতা জসিম উদ্দীন শাহ (তালা) ৪৬ ভোট, মোহাম্মদ আবুল কদর (হাতি) ৪৬ ভোট ও কাজী মোহাম্মদ আলমগীর (ঘুড়ি) ৬ ভোট পেয়েছেন।

তিনি আরো বলেন, ৪ নম্বর কেন্দ্রে সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে সংগ্রহ করা ১৫৮ ভোটের মধ্যে ১টি ভোট বাতিল করা হয়েছে। বেসরকারিভাবে অ্যাডভোকেট উম্মে হাবিবা (বই) ৬০ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা সদস্যপদে রেখা আলম চৌধুরী (কম্পিউটার) ৫২ ভোট, নুসরাত জাহান (দোয়াত কলম) ৩০ ভোট, ফেরদৌস বেগম মুন্নী (হরিণ) ১১ ভোট, আঞ্জুমান আরা (লাটিম) ৪ ভোট পেয়েছেন। আর সেলিনা আক্তার (টেবিল ঘড়ি) নিয়ে কোন ভোট পাননি বলে জানা গেছে।

সাধারণ সদস্যপদে বেসরকারিভাবে বিজয়ী জাফর আলম তাৎক্ষণিক প্রতিক্রিয়ায় জানান, হাটহাজারী ও নগরের জনপ্রতিনিধিদের ভোটে আমি নির্বাচিত হয়েছি। নগর ও আংশিক হাটহাজারীর প্রতিনিধি হিসেবে আমি সকলের সেবা করতে চাই। আমি একজন ব্যবসায়ী হিসেবে আগামী ৫ বছর মানুষের কল্যাণে থাকতে পারবো।

রিটার্নিং অফিসার ও জেলা প্রশাসক সামসুল আরেফিন বলেন, নির্বাচন উপলক্ষে প্রতিটি কেন্দ্রে র‌্যাবপুলিশের পাশাপাশি বিজিবি সদস্যরা দায়িত্ব পালন করেছেন। এছাড়া প্রতিটি কেন্দ্রে ১৯ জন ম্যাজিস্ট্রেট দায়িত্ব পালন করেছেন। ১৫ জন প্রিজাইডিং অফিসার, ৩০ জন সহকারী প্রিজাইডিং অফিসার ও ৬০ জন পোলিং অফিসার নির্বাচনে ভোটগ্রহণের দায়িত্ব পালন করেছেন।

আমাদের প্রতিনিধিদের পাঠানো খবর :

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি জানান,

সীতাকুণ্ড উপজেলায় চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ নির্বাচনের সদস্য পদে আ ম ম দিলশাদ বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ৯৫ ভোট। ১৮৫ জন ভোটারের মধ্যে ১৮২ জন ভোট প্রদান করেন। এতে দিলশাদের প্রতিদ্বন্দ্বী মহিউদ্দিন বাবুল পেয়েছেন ৮৫ ভোট। চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক মহিউদ্দিন বাবুল স্থানীয় এমপি দিদারুল আলমের সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন। তাঁর প্রতীক ছিলো তালা। আর সীতাকুণ্ড উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের সমর্থিত প্রার্থী ছিলেন সীতাকুণ্ড উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আ ম ম দিলশাদ।

সন্দ্বীপ প্রতিনিধি জানান,

জেলা পরিষদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম ৩ নং ওয়ার্ড সন্দ্বীপে বুধবার অবাধ, সুষ্ঠ ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। আওয়ামী লীগ সমর্থিত আফতাব খান অমি (তালা) ১১৯ ভোট পেয়ে সদস্য পদে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি সন্দ্বীপ উপজেলা আওয়ামী লীগের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আওয়ামী লীগ সমর্থিত হুমায়ুন কবির হামুন (ঘুড়ি) পেয়েছেন ৮০ ভোট। সকাল ৯টা থেকে বিকাল ২ টা পর্যন্ত সন্দ্বীপ উপজেলা কমপ্লেক্স সদরের কবি আব্দুল হাকিম মিলনায়তন কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হয়। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য তিন জনের মধ্যে মহিউদ্দিন জাফর (হাতি) পেয়েছেন ১ ভোট, দেলোয়ার হোসেন সন্দ্বীপি (টিউবওয়েল) পেয়েছেন ১ ভোট, এবং সাহাবুদ্দীন মাহমুদ (বৈদ্যুতিক পাখা) কোন ভোট পাননি। ২০৬ জন ভোটারের মধ্যে ২০২ জন তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেনউপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ আমির হোসেন।

হাটহাজারী প্রতিনিধি জানান,

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি উপজেলার আংশিক ৫নং ওয়ার্ডের নির্বাচন গতকাল বুধবার শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। হাটহাজারী পার্বতী উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ পর্ব সম্পন্ন হয়েছে। এ দুই উপজেলার ১২ টি ইউনিয়নের নির্বাচিত চেয়ারম্যান, সংর িত ও সাধারণ সদস্যগণ এতে ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। সাধারণ সদস্য পদে চারজন প্রার্থীর মধ্যে শওকত আলম (তালা) ৫১ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এইচ এম আলী আবরাহ দুলাল (বৈদ্যুতিক পাখা) পেয়েছেন ৩৯ ভোট। শাহানেওয়াজ চৌধুরী (হাতি) পেয়েছেন ৩১ ভোট। অপর প্রার্থী জামাল আহম্মদ (টিউবল) পেয়েছেন ২৮ ভোট।

ফটিকছড়ি প্রতিনিধি জানান,

৬ নং ওয়ার্ড (ফটিকছড়ি) ফটিকছড়ি উপজেলায় সাধারণ সদস্য পদে ৭৫ ভোট পেয়ে ড. মাহমুদ হাসান (অটোরিকশা) বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার প্রতিদ্বন্দী ছিলেন আহমদুর রহমান (বৈদ্যুতিক পাখা) পেয়েছেন ৪৫ ভোট। এই ওয়ার্ডে ১৫৭ভোট। এখানে মাত্র ১ জন ভোটাধিকার প্রয়োগ করেননি। অপরদিকে ৪,৫ ও ৬ ওয়ার্ড সংরক্ষিত আসনে (মহাগনর, হাটহাজারী ও ফটিকছড়ি কিছু অংশে) ১৯৯ ভোট পেয়ে এডভোকেট উম্মে হাবিবা বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। এখানে প্রিজাইডিং অফিসারের দায়িত্ব পালন করেন ফটিকছড়ি উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা. দেলোয়ার হোসেন। ফটিকছড়ি উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা জহুরুল হক হলে ভোট গণনা শেষে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নজরুল ইসলাম ফলাফল ঘোষণা করেন।

রাউজান প্রতিনিধি জানান,

৭ নং রাউজান আসনের সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বিন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহ সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা কাজী আবদুল ওহাব। নির্বাচন কমিশনের গতকাল সর্বশেষ ফলাফলে রাউজান আসনে অন্য কোনো প্রার্থী না থাকায় তাকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।

রাঙ্গুনিয়া প্রতিনিধি জানান,

৮ নম্বর ওয়ার্ড রাঙ্গুনিয়ায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশবিষয়ক সম্পাদক আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী কামরুল ইসলাম চৌধুরী। গতকাল ২৮ ডিসেম্বর কামরুল ইসলাম চৌধুরীকে বেসরকারিভাবে সাধারণ সদস্য নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়।

বোয়ালখালী প্রতিনিধি জানান,

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের ৯নং ওয়ার্ডে (বোয়ালখালী সম্পূর্ন, আংশিক পটিয়া) সদস্যপদে নির্বাচনে ১১৪ ভোট পেয়ে তালা প্রতীক নিয়ে নির্বাচিত হয়েছেন মোহাম্মদ ইউনুছ। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হাতী প্রতীক নিয়ে জেলা আওয়ামী লীগের শিক্ষা ও মানবসম্পদ সম্পাদক বোরহান উদ্দিন এমরান পেয়েছেন ৬১ ভোট। প্রিজাইডিং অফিসার সূত্রে জানা গেছেউপজেলার গোমদন্ডী পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে উৎসবমুখর পরিবেশে ভোটগ্রহন সম্পন্ন হয়। এ কেন্দ্রে ১৮০ ভোটের মধ্যে ভোট পড়েছে ১৭৮ টি । ৩ টি ভোট বাতিল হয়েছে।

পটিয়া প্রতিনিধি জানান,

জেলা পরিষদ নির্বাচনে পটিয়াকর্ণফুলী নিয়ে গঠিত ১০ নম্বর ওয়ার্ডের নির্বাচন শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়েছে। নির্বাচনে জেলা আওয়ামী লীগ নেতা ও পটিয়া আসনের এমপি সামশুল হক চৌধুরীর উন্নয়ন সমন্ময়কারী দেবব্রত দাশ দেবু (তালাচাবি) প্রতীকে ৮৪ ভোট পেয়ে বেসরকারিভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী আবু মোহাম্মদ মহিউদ্দিন টিউবওয়েল প্রতীকে পেয়েছেন ৭৪ ভোট। আনোয়ারা পশ্চিমপটিয়া আসনের এমপি ভূমি প্রতিমন্ত্রী সমর্থিত প্রার্থী মোজাহেরুল ইসলাম হাতি প্রতীকে পেয়েছেন ২১ ভোট। এছাড়া সংরক্ষিত মহিলা আসনে নুরুন নাহার ফুটবল প্রতীক পেয়েছেন ১০২ ভোট এবং রেহেনা ফেরদৌস দোয়াত কলম পেয়েছেন ৭৭ ভোট।

সকাল থেকে ভোট গ্রহণ শুরু হলেও ভোটারের উপস্থিতি ছিলো কম। বেলা ১১ টার পর ভোটার সংখ্যা বাড়তে থাকে। আর বেলা ১টার মধ্যে ভোট কেন্দ্র ভোটার শূন্য হয়ে পড়ে। মোট ১৮৫ ভোটের মধ্যে মোট ১৮১ জন ভোটার ভোট দিয়েছেন। এর মধ্যে সাধারণ সদস্য পদে ১টি ভোট বাতিল করা হয়।

চন্দনাইশ প্রতিনিধি জানান,

চন্দনাইশ উপজেলা ও পটিয়া উপজেলার শোভনদণ্ডী, খরনা, কচুয়াই ও ছনহরা ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত চট্টগ্রাম১১ নং ওয়ার্ডে বিজয়ী হয়েছেন চন্দনাইশ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবু আহমদ চৌধুরী জুনু। তিনি তার তালা মার্কা প্রতীক নিয়ে পান মোট ১৭৮ ভোট। এ ওয়ার্ডে মোট ভোটার ১৮৫ জন। সব ভোটারই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেন। কোন ভোটই বাতিল হয়নি। নির্বাচিত আবু আহমদের নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট শিহাব উদ্দীন রতন হাতি প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৪ ভোট, মোহাম্মদ আবুল কালাম অটোরিকশা প্রতীক নিয়ে পেয়েছেন মাত্র ৩ ভোট এবং অপর প্রার্র্থী আবু হেনা ফারুকী টিউবওয়েল নিয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও তিনি কোন ভোট পাননি।

আনোয়ারা প্রতিনিধি জানান,

চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের সদস্য (সংরক্ষিত) পদে আনোয়ারা ও বাঁশখালী আংশিক এলাকার নির্বাচনে রেহানা ফেরদৌস চৌধুরী (দোয়াত কলম) ১৫৫ ভোট পেয়েছেন। অপর প্রার্থী নুরনাহার পেয়েছেন (ফুটবল) পেয়েছেন ১১ ভোট। আনোয়ারা উপজেলা পরিষদে অনুষ্ঠিত এই নির্বাচনে মোট ভোটার ছিল ১৭২। এর মধ্যে ৫ ভোটার অনুপস্থিত ছিল।

উলেহ্মখ্য, আনোয়ারা থেকে সাধারণ সদস্য পদে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় এসএম আলমগীর চৌধুরীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়েছে।

বাঁশখালী প্রতিনিধি জানান,

১৩ নং ওয়ার্ড বাঁশখালী কেন্দ্রে সাধারণ সদস্য পদে ভোটগ্রহণ স্থগিত থাকলেও সংরক্ষিত সদস্য পদে ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হয়। মোট ১৭২টি ভোটের মধ্যে এডভোকেট কামরুন্নাহার (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ১০৩ ভোট, শাহিদা আক্তার (হরিণ) পেয়েছেন ৫৬ ভোট, বাতিল হয়েছে ১ ভোট এবং ভোট দিতে আসেনি ১২ ভোটার।

সাতকানিয়া প্রতিনিধি জানান,

১৪ নং ওয়ার্ড সাতকানিয়ায় ভোটাররা তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছেন। সাধারণ সদস্য পদে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মুহাম্মদ জসীম উদ্দিন (হাতি) ৭৪ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জাফর আলম (উট পাখি) পেয়েছেন ৪৮ ভোট।

অন্যদিকে, সংরক্ষিত মহিলা আসন ৫ এ (সাতকানিয়া, লোহাগাড়া ও বাঁশখালী) শাহেদা আকতার জাহান (হরিণ) ২৯৭ ভোট পেয়ে নির্বাচিত হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট কামরুন্নাহার (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ২০৯ ভোট।

সাতকানিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ উল্যাহ জানান, সাতকানিয়ায় অত্যন্ত শান্তিন্তপূর্ণ পরিবেশে অবাধ ও সুষ্ঠুভাবে ভোট গ্রহণ সম্পন্ন হয়েছে। উপজেলা কৃষি ভবনে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে ভোটররা লাইনে দাঁড়িয়ে নির্বিঘ্নে তাদের পছন্দের প্রার্থীকে ভোট দিয়েছেন।

লোহাগাড়া প্রতিনিধি জানান,

১৫নং ওয়ার্ড লোহাগাড়ায় আনোয়ার কামাল (অটোরিক্সা) ১৬১ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী জসিম উদ্দিন (হাতি) পেয়েছেন মাত্র ৬ ভোট। সাতকানিয়ার কেওচিয়া, বাজালিয়া, ছদাহা ও সোনাকানিয়া ইউনিয়ন এবং লোহাগাড়ার ৯ ইউনিয়ন নিয়ে এ ওয়ার্ড গঠিত। নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রিজাইডিং অফিসার উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শামীম হোসেন জানিয়েছেন, মোট ১৭১ জন ভোটারের মধ্যে ১৬৮ জন ভোটার তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন। একটি ভোট বাতিল হয়। ৩ জন ভোটার অনুপস্থিত ছিলেন। সংরক্ষিত মহিলা ৫নং (১৩, ১৪ ও ১৫) লোহাগাড়ায় শাহিদা আক্তার জাহান (হরিণ) পেয়েছেন ১০৪ ভোট ও তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী এডভোকেট কামরুন্নাহার (দোয়াত কলম) পেয়েছেন ৬৩ ভোট। সদরের ফয়েজ শফি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ১৫নং ওয়ার্ডের কেন্দ্র ছিল।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031