জেলা প্রশাসন ভূমি ধসে বিধ্বস্ত রাঙামাটি জেলার যেকোনো ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় নতুন করে বাড়িঘর নির্মাণে কঠোর নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে।

এখন থেকে পাহাড়ে বাড়িঘর নির্মাণ করতে প্রশাসনের অনুমতি লাগবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক মানজারুল মান্নান।

মানজারুল মান্নান  জানান, পাহাড় ধসের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার থেকে পরবর্তী আদেশ না দেওয়া পর্যন্ত, অথবা প্রশাসনের অনুমতি ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া বা বিধ্বস্ত ভিটায় এবং পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় যেকোনো বাড়িঘর, বা স্থাপনা নির্মাণে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। মানুষের ভবিষ্যৎ জানমাল রক্ষার বিষয়টি বিবেচনা করে বিশেষজ্ঞদের পরামর্শে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

জেলা প্রশাসক বলেন, যাচাই বাছাই ছাড়া কাউকে আর মৃত্যুর মুখে ঠেলে দেওয়া যাবে না।

তিনি জানান, পাহাড় ধসের ঘটনায় রাঙামাটি সদরসহ পুরো রাঙামাটি জেলায় প্রায় ১৭০০ পরিবার ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে রাঙামাটি সদরেই রয়েছেন ১১৩০ পরিবার। পাহাড় ধসের ঘটনায় ক্ষতিপূরণ সহায়তা হিসেবে মৃত প্রত্যেকের পরিবারকে ২০ হাজার টাকা এবং ৩০ কেজি করে চাল বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে নগদ পাঁচ হাজার টাকা ও ২০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ও ঝুঁকিতে থাকা লোকজনকে সরকারি আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হচ্ছে। শহরে মোট ১৯টি আশ্রয় কেন্দ্রে এই পর্যন্ত ৬৪৩ পরিবারের নারী, শিশু, পুরুষ মিলে দুই হাজার ৯০০ জন আশ্রয়ে এসেছেন। আশ্রিতদের সংখ্যা সার্বক্ষণিক বাড়ছে। নিরাপত্তার জন্য প্রতিদিন আশ্রয় কেন্দ্রে ছুটছে মানুষ। আশ্রিতদের জন্য দুই বেলা খাবারসহ নিরাপদ পানি সরবরাহ, প্রয়োজনীয় চিকিৎসা সেবা, লুঙ্গি, শাড়ি, কাপড়সহ ত্রাণ বিতরণ করা হচ্ছে। তাদের প্রয়োজনীয় সবকিছুর সহায়তা দেওয়া হচ্ছে বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন।

এদিকে রাঙামাটিতে ক্ষতিগ্রস্ত এবং দুর্গতদের সহায়তা দিতে একটি মানবিক সহায়তা তহবিল গঠন করেছে জেলা প্রশাসন। ইসলামি ব্যাংকের রাঙামাটি শাখায় মানবিক সহায়তা তহবিল নামে খোলা হয়েছে একটি ব্যাংক হিসাব (নম্বর-২৮১৩)। এই ব্যাংক হিসাবে দেশের যে কেউ মানবিক সহায়তার জন্য অর্থ জমা দিলে তা দুর্গতদের সাহায্যার্থে ব্যয় করা হবে বলে জেলা প্রশাসক নিশ্চিত করেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031