প্রধান বিচারপতির পদ ছাড়ার আগেই কানাডার টরেন্টোতে এস কে সিনহার জন্য বাড়ি ভাড়া করা হয় বলে জানিয়েছে সেখান থেকে প্রকাশিত একটি গণমাধ্যম। টরেন্টো পৌঁছার পর সিনহা কারো সঙ্গে কথা বলছেন না বলে জানিয়েছে ‘নতুন দেশ’ নামের গণমাধ্যমটি। সেখানে সিনহার অবস্থান দীর্ঘস্থায়ী হবে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, শুক্রবার বিকালে সিঙ্গাপুর থেকে টরেন্টোর পিয়ারসন ইনটারন্যাশনাল এয়ারপোর্টে পৌঁছার পর সিনহাকে ডাউন টাউনে ভাড়া করা একটি বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়, যেটি তার থাকার জন্যই ভাড়া নেয়া হয়েছিল। বাড়িতে পৌঁছার পর ঘনিষ্ঠজন ছাড়া সিনহা কারো সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন না।
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় নিয়ে ক্ষমতাসীনদের ব্যাপক সমালোচনার মুখে গত ৩ অক্টোবর ছুটি নিয়ে ১৩ অক্টোবর অস্ট্রেলিয়ায় যান বিচারপতি সিনহা। সেখানে তার মেয়ে থাকে। পরে তার স্ত্রীও ঢাকা থেকে অস্ট্রেলিয়া যান।
অস্ট্রেলিয়া রওনা হওয়ার সময় সাংবাদিকদের সিনহা জানিয়েছিলেন যে তিনি ছুটি শেষে ফিরে আসবেন। দায়িত্বও পালন করবেন। বলেছিলেন, ‘আমি পালিয়ে যাচ্ছি না। আবার ফিরে আসব।…আমি বিচার বিভাগের অভিভাবক। বিচার বিভাগ যাতে কলুষিত না হয় সে জন্যই সাময়িকভাবে যাচ্ছি।’
অস্ট্রেলিয়ায় বড় মেয়ের কাছে এক মাস থাকার পর শুক্রবার সিঙ্গাপুর হয়ে কানাডায় ছোট মেয়ের কাছে যান সিনহা।
গতকাল ১০ নভেম্বর প্রধান বিচারপতির ছুটির শেষ দিন হলেও দেশে না আসায় তাকে নিয়ে গণমাধ্যমে বিভিন্ন খবর প্রচার হয়। সিনহা দেশে এসে পুনরায় কাজে ফিরবেন, নাকি পদত্যাগ করবেন এসব নিয়ে গণমাধ্যমে নানা খবর আসে। এর মধ্যেই মধ্যরাতে বিভিন্ন বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল বলা হয়, প্রধান বিচারপতি তাঁর পদত্যাগপত্র রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠিয়েছেন।
সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সিনহার কোনো পদত্যাগপত্র বঙ্গভবনে পৌঁছায়নি বলে জানান। আরেক অনুষ্ঠানে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বিচারপতি সিনহার পদত্যাগের বিষয়ে কিছু জানেন না বলে সাংবাদিকদের জানান। এর কিছুক্ষণ পর রাষ্ট্রপতির প্রেস সচিব জয়নুল আবেদিন বিচারপতি সিনহার পদত্যাগপত্র পাওয়ার কথা
