ড্রাইভারসহ মানুষ ছিল চারজন আমার বাসায় বিভিন্ন কাজে সহায়তার জন্য। এরমধ্যে তিনজনকে মার্চ মাসের বেতন দিয়ে ছুটি দিয়েছি গতমাসের ২০ তারিখের দিকে। এপ্রিলে যদি তারা না আসতে পারেন পুরো বেতন ফ্লেক্সি করে দেবো এপ্রিল শেষ হওয়ার আগে। বহু মানুষ এটা করছে, এটাই করা উচিত।

আমরা পারলে, গার্মেন্টসের মালিকরা এটা করতে পারলেন না কেন? বিশেষ করে বড় বড় মালিকরা? নানাভাবে তারা হাজার হাজার কোটি টাকার মালিক হয়েছেন। জরুরি পরিস্থিতিতে তাদের শ্রমিকদের ২/৩ মাসের বেতন দেয়ার মতো সামর্থ্য তাদের আছে। তাহলে কেন তারা মার্চ মাসের বেতন না দিয়ে বসে আছেন এতোদিন ধরে?

গার্মেন্টস মালিকদের অমানবিকতার নিন্দা জানাই। করোনার সরঞ্জাম বিদেশে পাঠানোর জন্য তারা যেভাবে শ্রমিকদের শত শত কিলোমিটার জুড়ে রাজপথে বেওয়ারিশভাবে ঘুরালেন, যেভাবে করোনা ঝুঁকিতে ঠেলে দিলেন এবং যেভাবে তাদের জীবিকা নিরাপত্তা ঝুলিয়ে রেখেছেন তা আবারো তাদের নির্মমতার পরিচয় ফুটিয়ে তুললো।

ছোটবেলায় পড়তাম বাহাইন্ড এভরি ফরচুন দেয়ার ইজ এ ক্রাইম। এদের ক্রাইম তো কোনদিনও শেষ হবে বলে মনে হয় না।

গার্মেন্টস মালিকদের নিন্দা জানানো সবার উচিত। উচিত এদের বেনিয়া মনোবৃত্তির বিরুদ্ধে সংগঠিতভাবে রুখে দাঁড়ানো। উচিত সরকারের নিন্দা জানানোও। সরকারের নীতি শৈথিল্যের সুযোগ তারা নিয়েছে। করোনাকালে এ শৈথিল্য, (ইচ্ছাকৃত বা অনিচ্ছাকৃত) নিন্দনীয় ও চরম অগ্রহণযোগ্য।

লেখক: অধ্যাপক, আইন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031