৭২ বছর বয়সী এক নারীকে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে খুলনা সিটি করপোরেশন এলাকার ১৭ নম্বর ওয়ার্ডের আওতাভুক্ত একটি টিকাকেন্দ্রে । অভিযোগকারী নারী জহুরার পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ ১০ মিনিটের ব্যবধানে তাকে টিকার ডাবল ডোজ দেওয়া হয়েছে। এর প্রতিক্রিয়ায় তার মাথা ঘুরাচ্ছে। গা ঝিমঝিম করছে। চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। জহুরা বেগম খুলনা সিটি করপোরেশনের কঞ্জারভেন্সি বিভাগের মাস্টাররোলের কর্মচারী গার্বেজ ট্রাকচালক রফিকুল ইসলামের মা।

জহুরা বেগম বলেন, সকাল ১০টায় কেন্দ্রে যাই। সেখানে যাওয়ার ১০ মিনিট পরে একটি চেয়ারে আমাকে বসানো হয়। বসা অবস্থায় নাম-ঠিকানা লিখে কার্ড রেডি করে টিকা দেওয়া হয়। এসময় সুঁই ভেঙে যায়। এরপর কর্মীরা আমাকে অন্য একটি চেয়ারে বসিয়ে আবার টিকা দেন। টিকা নেওয়ার পর কেন্দ্রের পাশে বাসা থাকায় বাসায় চলে যাই। বাসায় যাওয়ার পর তার মাথা ঘুরতে শুরু করে। গা ঝিমঝিম করে। সময় বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে তা বাড়তে থাকে। চোখ দিয়ে পানি পড়তে থাকে। জহুরা বেগমের ছেলে রফিকুল ইসলাম বলেন, আমরা কেউ মায়ের সঙ্গে কেন্দ্রে যাইনি। মা বয়স্ক মানুষ বুঝতে পারেননি। টিকাকর্মীরা তাকে দুই ডোজ টিকা দিয়েছেন। এখন তার চোখ দিয়ে পানি ঝরছে। মায়ের কিছু হয়ে গেলে আমি মা কোথায় পাবো।

তবে সোনাডাঙ্গার ময়লাপোতা টিকাকেন্দ্রের কর্মী শাহিনুর বেগম বলেন, কেন্দ্রে কাউকে দুইবার টিকা দেওয়ার ঘটনা ঘটেনি। আমি নিজেই এ টিকা দিয়েছি। কাউকে টিকা দিতে গিয়ে সুঁই ভেঙে যাওয়ার ঘটনাও ঘটেনি।

১৭ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর হাফিজুর রহমান হাফিজ বলেন, ওই কেন্দ্রে ২০০ জনকে টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাও ২০০ ডোজই আনা হয়েছিল। টিকাদান সুষ্ঠুভাবে শেষ হয়েছে। কোনও সমস্যা ছিল না। আর কাউকে ডাবল টিকা দেওয়ারও সুযোগ নেই। বয়স্ক মানুষ, ভুল বুঝে অভিযোগ করছেন বলে মন্তব্য করেন তিনি।

খুলনা সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. স্বপন হালদার বলেন, এ ধরনের কোনও অভিযোগ আমরা পাইনি। তারপরও বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখছি।

খুলনার সিভিল সার্জন ডা. নিয়াজ মোহাম্মদ বলেন, এ ধরনের কোনও তথ্য আমি জানি না। আর বিষয়টি সিটি করপোরেশনের মধ্যে। তাই সিটি করপোরেশনের স্বাস্থ্য বিভাগই এ বিষয়ে বলতে পারবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031