কর্ণফুলী নদী ও হালদার পাড় ঘেঁষে থাকা বাগোয়ান ইউনিয়নের জনগুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি কাঁচা–পাকা রাস্তা বালুবাহী ট্রাকের ভরে ক্ষতবিক্ষত হয়ে পড়ছে রাউজান উপজেলার দক্ষিণাংশে গশ্চি নয়াহাট–লাম্বুরহাট, মাহমুদুজ্জামান সড়ক পথের বিভিন্নস্থান ক্ষতবিক্ষত হয়েছে।

স্থানীয়দের অভিযোগ ইউনিয়নের দুটি সড়ক ছাড়াও ওই ইউনিয়নের লাম্বুরহাট–কোয়েপাড়া, ব্রাহ্মণহাট পাঁচখাইন, ধরের টেক–মাঝিপাড়া সড়কের বিভিন্নস্থানেও ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। এসব সড়ক কোনোটি আরআরসি, কোনোটি কার্পেটিংয়ের মাধ্যমে উন্নয়ন করা হয়েছিল দুই থেকে চার বছর আগে। রাউজান উপজেলার দক্ষিণ সীমানা ঘেঁষে কর্ণফুলী নদী। এই নদী পাড়ের বিভিন্নস্থানে বিশাল বিশাল বালু পাহাড়। এসব বালু নদী পথে বড় বড় যান্ত্রিক নৌযানে এনে স্যালো পাম্পে উপরে উঠানো হচ্ছে।

বিশাল বালুর পাহাড় দেখা গেছে খেলারঘাট জগৎ চন্দ্র সেন কৃষি ও শিল্প উচ্চ বিদ্যালয়ের লাম্বুরহাট স্লুইচ গেট, পাঁচখাইনসহ বিভিন্ন পয়েন্টে। জগৎ চন্দ্র সেন কৃষি ও শিল্প উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনের রাস্তার উপর পাইপ বসিয়ে বালু উঠানোর কারণে রাস্তাটি কাদাপূর্ণ হয়েছে। বালুর পাহাড়ের কারণে বিদ্যালয়টি আড়াল হয়ে আছে। খবর নিয়ে জানা গেছে, এখানে বালুর ব্যবসায় নিয়োজিত আছেন চারজনের একটি সিণ্ডিকেট। তাদের মধ্যে বাবুল নামের একজন বলেছেন, বিদ্যালয়ের জায়গা ভাড়া নিয়ে তারা এখানে বালু ওঠাচ্ছেন। স্থানীয় পথচারীসহ এই বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা নিজেদের নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেছেন, বাতাসে উড়ন্ত বালু তাদের চোখে মুখেসহ সারা শরীরে পড়ছে।

লাম্বুরহাট স্লুইট গেটের কাছেও রাস্তার উপর দিয়ে পাইপ টেনে একই কায়দায় বালু উঠাতে দেখা গেছে। এখানে বছরের পর বছর বালু উঠানামা করার কারণে রাস্তার কিনারা খালের মধ্যে ধসে যাচ্ছে। স্থানীয়দের অভিযোগ পাশে থাকা একটি প্রাচীন মন্দিরের প্রবেশ পথ কাদাপানিতে সয়লাব হয়ে গেছে। কয়েকজন পূজার্থীর অভিযোগ যেখানে বালু পাহাড় গড়ে তোলা হয়েছে সেই জায়গাটি মন্দিরের মালিকানাধীন। তবে এখানে বালু ব্যবসায় জড়িত শ্যামল নামের এক ব্যক্তির দাবি জায়গার মালিকের কাছ থেকে ভাড়া নিয়ে তারা বালু রাখছে। পাঁচখাইন এলাকার বাসিন্দারা বলেছেন, বালু ব্যবসায়ীদের ট্রাকের চাপে রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই এলাকার বালু ব্যবসায়ী আবদুল খালেক বলেন, তিনি এখন বালু উঠাচ্ছেন না। এই বিষয়টি নিয়ে কথা বললে রাউজান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অংগজাই মারমা বলেন, বিষয়টি তিনি দেখবেন। সরেজমিনে পরিদর্শন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031