ট্রাফিক পুলিশের সহযোগিতায় অনুমোদনহীন এসব যানবাহন সড়কে চলাচল করছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে যানজটসহ প্রতিনিয়ত ঘটছে নানা দুর্ঘটনা।  হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গা-ইপিজেড-বিমানবন্দর সড়কে চলছে রুট অনুমোদনবিহীন মেক্সিমা, ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিক্সা।
এসব যানবাহন চলাচলে বন্দর জোনের (ট্রাফিক) পুলিশের সহকারি কমিশনারকে দায়ী করে মহানগর পুলিশ কমিশনার, বন্দর উপ-পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) এবং চসিক মেয়রকে স্বারকলিপি দিয়েছেন চালক-সহকারী ইউনিয়ন।
স্বারকলিপিতে বলা হয়-পতেঙ্গা-ইপিজেড-বিমানবন্দও একটি গুরুত্বপূর্ণ সড়ক। এ সড়কে দায়িত্বরত বন্দর জোনের (ট্রাফিক) সহকারি কমিশনার মোশারফ হোসেন ব্যক্তিগতভাবে লাভবান হওয়ার ইচ্ছায় হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে অনুমোদনহীন যানবাহনগুলো চলাচলের সুযোগ করে দেন।
চালক ও সহকারী ইউনিয়ন’র সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ ওয়াসিম ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, গত ৬ই জুন পতেঙ্গা-ইপিজেড-বিমানবন্দর গুরুত্বপূর্ণ সড়কে অবৈধভাবে তিন চাকার গাড়ির না চলাচলের জন্য আবেদনের প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট থেকে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়।

তা অমান্য করে বন্দর জোনের সহকারি কমিশনার (ট্রাফিক), ইপিজেপের ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. আব্দুলাহ এবং পতেঙ্গা থানার ট্রাফিক ইন্সপেক্টর (টিআই) মো. মশিউর রহমান একতরফাভাবে অবৈধ যানবাহন চলাচলের সুযোগ করে দেন।

হাইকোর্টে রিট আবেদনকারী চট্টগ্রাম অটোরিক্সা, অটোটেম্পু শ্রমিকলীগের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম খোকন বলেন, আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে ইতোমধ্যে বেশ কয়েকবার অবৈধ তিন চাকার যানবাহনগুলো চলাচল না করার জন্য ট্রাফিক বিভাগ বন্দরকে অবহিত করেছি। পরে আমরা হাইকোর্টে রিট করি। রিটের পরিপ্রেক্ষিতে একটি নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপরেও ট্রাফিক বিভাগের বিশেষ সহযোগিতায় এয়ারপোর্ট-পতেঙ্গা-ইপিজেডে চলছে এসব অনুমোদনবিহীন যান।
বিআরটিসি পরিদর্শক আশিকুর রহমান জানান, চট্টগ্রাম মহানগরের বারেক বিল্ডিং মোড়ের পর থেকে মহানগরীর পতেঙ্গা থানার কাটগড়-বিমানবন্দর সড়কে তিন চাকার পাঁচ শতাধিক যানবাহন চলছে। এসব যানবাহনের কোন রুট পারমিট নেই।
এ ব্যাপারে জানতে ফোন করা হলে বন্দর জোনের (ট্রাফিক) সহকারী কমিশনার মোশারফ হোসেন বলেন, আমি ছুটিতে আছি। এখন কোনো কথা বলতে পারব না বলে মুঠোফোন কেটে দেন।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031