ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে ঢুকে পুলিশের তিন সদস্যকে পেটানোর অভিযোগ উঠেছে যশোরে স্থানীয় ছাত্রলীগের কিছু নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে। ‘রেজিস্ট্রেশনবিহীন’ মোটরসাইকেল আটক করার জেরে এ হামলা হয় বলে ট্রাফিক পুলিশের দাবি। ছাত্রলীগের এক নেতাকে আটক করেছে পুলিশ।

বুধবার বিকেল তিনটার দিকে শহরের প্রাণকেন্দ্র নেতাজী সুভাষচন্দ্র বসু সড়কে ট্রাফিক পুলিশ কার্যালয়ে এই ঘটনা ঘটে।

যশোর ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মুহম্মদ ফজলুল করিম জানান, দুপুরে যশোর শহরের মণিহার এলাকা ধরে জেলা ছাত্রলীগের পাঠাগারবিষয়ক সম্পাদক মেজবাহউদ্দিন সুমনসহ তিনজন একটি নতুন মোটরসাইকেলে চেপে যাচ্ছিলেন। সেখানে কর্তব্যরত ট্রাফিক পুলিশের সার্জেন্ট মুস্তাফিজ তাদের কাছে মোটরসাইকেলের কাগজপত্র দেখতে চান। তারা তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় সার্জেন্ট মোটরসাইকেলটি আটক দেখান।

সার্জেন্ট  জানান, বিকেল তিনটার দিকে সুমন ও  এমএম কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রওশন ইকবাল শাহীর নেতৃত্বে ২০-২৫ জনের একদল যুবক ট্রাফিক পুলিশ অফিসে হামলা চালায়। এ সময় তারা অফিসে দায়িত্বরত কনস্টেবল ইকলাসুর রহমান (নম্বর ৮৫৯), নূরুল ইসলাম (নম্বর ৭৮৫) এবং মফিজুর রহমানকে (নম্বর ১০৭৯) কিল-লাথি মারে। অফিসের একটি টেলিফোন সেট ভাঙচুর ও কাগজপত্র তছনছ করা হয়।

খবর পেয়ে কোতোয়ালি থানা থেকে পুলিশের একটি দল গিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়।

হামলা ও মারধরের অভিযোগ সম্পর্কে জানতে চাইলে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন বিপুল তা নাকচ করে দেন। ঢাকাটাইমসকে তিনি বলেন, ‘অন্য একটি মোটরসাইকেল আটকের ঘটনায় ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী ট্রাফিক পুলিশ অফিসে গেলে সেখানে কর্তব্যরতরা তাদের গালিগালাজ করেন। এ ঘটনায় যুবকরা ক্ষিপ্ত হয়ে তাদেরও গালিগালাজ করে চলে আসে। মারধর বা হামলার অভিযোগ সত্য নয়।’ মোটরসাইকেল ফেরত দেওয়ার নামে সুমনকে ডেকে নিয়ে আটক করা হয় বলে অভিযোগ করেন তিনি।

সুমনকে আটকের কথা নিশ্চিত করেন ট্রাফিক পুলিশের ইন্সপেক্টর মুহম্মদ ফজলুল করিম। তিনি  জানান, ঘটনার সঙ্গে জড়িত সুমনকে আটক করে কোতোয়ালি থানায় সোপর্দ করা হয়েছে।
মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানান তিনি।

প্রত্যক্ষদর্শী একাধিক ব্যক্তি জানান, হামলার খবর পেয়ে সেখানে আসা কোতোয়ালি থানা পুলিশের দল বিকেল সাড়ে তিনটার দিকে পুলিশ ভ্যানে করে সুমনকে নিয়ে যায়।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031