ঢাকায় ডেকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া কলেজের ছাত্রী সোহাগী জাহান তনু হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে তদন্তের অংশ হিসেবে পরিবারের সদস্যদের । গতকাল বুধবার সিআইডি’র সদর দপ্তরে ডেকে আনা হয় তনুর পরিবারের সদস্যদের। তনুর মা-বাবা, ভাই, চাচাতো বোনসহ সাত সদস্য সকালে সিআইডি কার্যালয়ে প্রবেশ করেন। এ অবস্থায় তনু হত্যাকাণ্ডের তদন্ত নিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল সাংবাদিকদের বলেন, তনুর আত্মীয়স্বজনকে ঢাকায় আনা হয়েছে। এটা তদন্তের অংশ। কাজেই আমি মনে করি এই তদন্তে সত্যি ঘটনাটা উদঘাটন হবে।
রাজধানীতে সাউথ ইস্ট ইউনিভার্সিটির ১৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। এদিকে, তদন্তের প্রয়োজনে কুমিল্লা থেকে চিঠি পাঠিয়ে ডেকে আনা হয় তনুর পরিবারের সদস্যদের। সকালে তনুর বাবা ইয়ার হোসেন, মা আনোয়ারা বেগমসহ পরিবারের সদস্যদের সিআইডি কার্যালয়ে ঢুকতে দেখা গেছে। তার আগে তনুর পিতা ইয়ার হোসেন জানান, তনুকে কারা হত্যা করতে পারে এ বিষয়ে সিআইডির সঙ্গে কথা বলবো। এতদিনেও তনু হত্যাকারীকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। আমরা এই মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশ হতে চাই না। আমার মেয়েকে যারা হত্যা করেছে আমরা তাদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি চাই। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ চান তিনি। সকাল থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত সিআইডি কার্যালয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছিলো তনুর পরিবারের সদস্যদের। এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিআইডি’র এডিশনাল ডিআইজি আব্দুল কাহহার আকন্দ বলেন, তদন্তের প্রয়োজনে তাদের ডেকে আনা হয়েছে। তদন্তে তাদের সহযোগিতা চেয়ে সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এর চেয়ে বেশি মন্তব্য করতে চাননি তিনি। তনুর পরিবারের সদস্যরা জানান, সেনানিবাসের ভেতরে পাশাপাশি দুটি বাসায় প্রাইভেট পড়াতেন তনু। ওই দুটি বাসা থেকে তনুদের টিনশেড কোয়ার্টার এক কিলোমিটার দূরে। মধ্য স্থানে অলিপুরের ঝোপ। তনুর বাসা থেকে অর্ধকিলোমিটার প্রায়। ঘটনাস্থলের ৭০ গজ দূরেই রয়েছে বিভিন্ন বাসা। গত বছরের ২০শে মার্চ রাতে অলিপুরের সেই ঝোপে পাওয়া যায় তনুর লাশ। পাহাড়ের নিচে ঝোপের মধ্যে উত্তরে মাথা ও দক্ষিণে ছিল তনুর দুটি পা। নাকে ও দুই কানে ছিল জমাট রক্ত। ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল স্যান্ডেল, ব্যাগ, মোবাইলফোন। এ ঘটনায় পরদিন তনুর পিতা ইয়ার হোসেন বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা করেন। পরবর্তীতে ডিবি থেকে মামলাটি গত বছরের ২৫শে মার্চ সিআইডিতে হস্তান্তর করা হয়। প্রথমে একবার পরে লাশ উত্তোলন করে আরো একবার ময়নাতদন্ত করা হয়। এতকিছুর পরে উদঘাটন হয়নি তনু হত্যা রহস্য।
