আমরা চিরতরে মাদককে না বলবো। মাদক ব্যবসায়ীদের ঠাঁই বাংলাদেশে নেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেছেন। আমরা মাদক ব্যবসায়ীদের তালিকা তৈরি করেছি, তালিকা অনুুযায়ী তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
গতকাল রাজধানীর ফার্মগেটে আনন্দ সিনেমা হলের সামনে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মাদকবিরোধী কার্যক্রমের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি একথা বলেন। ‘মাদক পরিহার করুন, নিজে বাঁচুন, আগামী প্রজন্মকে বাঁচান’ শীর্ষক স্লোগানকে সামনে রেখে ডিএমপি’র এই মাদকবিরোধী প্রচারণা কার্যক্রম শুরু হলো। এতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মাদক ব্যবসায়ীদের হুঁশিয়ার করে আরো বলেন, মাদকের ভয়াবহ আগ্রাসন রোধে সরকারের অবস্থান জিরো টলারেন্স। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সারা বাংলাদেশে মাদকবিরোধী অভিযান চলছে।
তিনি আরো বলেন, মাদকের আগ্রাসন থেকে বাঁচতে আপনার পরিবারের সদস্যদের প্রতি বিশেষ নজর রাখবেন। যারা মাদক ব্যবসা করে তাদের খবর পুলিশকে দিন। জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য আমরা নিয়মিত মাদকের বিরুদ্ধে সভা সমাবেশ করবো। সব শ্রেণি-পেশার মানুষ এক হয়ে মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান নিতে হবে। মাদকমুক্ত বাংলাদেশ গড়ার প্রচেষ্টা আমাদের অব্যাহত থাকবে।
রমজানে ডিএমপি’র গৃহীত নিরাপত্তা ব্যবস্থার প্রশংসা করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ডিএমপি কমিশনার অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে ঢাকা মহানগরকে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তার মধ্যে নিয়ে এসেছেন। যার সুফল আপনারা এখন পাচ্ছেন।
অনুষ্ঠানে বক্তব্যে ডিএমপি কমিশনার মো. আছাদুজ্জামান মিয়া মাদকের বিরুদ্ধে অবস্থান তুলে ধরে বলেন, সরকারের জিরো টলারেন্স নীতি ঘোষণার মধ্য দিয়ে আমরাও সর্বাত্মক যুদ্ধ ঘোষণা করেছি। মাদক ব্যবসায়ী যেই হোক তাকে ছাড় দেয়া হবে না। ডিএমপি মাদকের বিরুদ্ধে নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে। অভিযানে অনেক মাদক ব্যবসায়ীকে আমরা গ্রেপ্তার করেছি। উদ্ধার করা হয়েছে বিপুলসংখ্যক মাদকদ্রব্য। জনগণের সহায়তা নিয়ে জঙ্গিবাদের মতো আমরা সফলভাবে মাদককে নির্মূল করবো।
ডিএমপি কমিশনার আরো বলেন, আমরা রমজানে নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা দিচ্ছি। যার ফলে রমজানে এই কয়দিনে বড় কোনো অপরাধ ঘটেনি। শপিংমলগুলোতে নগরবাসী নিরাপদে ও স্বাচ্ছন্দ্যে মধ্যরাত পর্যন্ত কেনাকাটা করছে। যান চলাচল স্বাভাবিক রাখতে প্রতিদিন ৮০০ ট্রাফিক পুলিশ রাস্তায় দাঁড়িয়ে ইফতার করে। মাদক ক্যানসারের থেকেও ভয়াবহ। মাদক নিজেকে ও পরিবারকে ধ্বংস করছে। মাদকের বিরুদ্ধে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।
প্রচারণা কার্যক্রমের উদ্বোধন শেষে ফার্মগেট এলাকায় বিভিন্ন গাড়িতে মাদকবিরোধী স্লোগান সংবলিত স্টিকার ও পোস্টার লাগানো হয়। পথচারী ও যাত্রীদের মাঝে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও ডিএমপি কমিশনার লিফলেট বিতরণ করেন। এ সময় ডিএমপির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
