কথিত গোলাগুলিতে ২ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। পুলিশের দাবি ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বের জেরে গোলাগুলিতে তারা নিহত হয়েছেন যশোর সদর উপজেলার কানাইতলায়। নিহত দুই জনের নাম পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি। লাশ দুটি পুলিশ রাতেই উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য যশোর জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। এনিয়ে গত ৩ দিনে যশোরে কথিত গোলাগুলিতে অজ্ঞাত ৬ ব্যক্তির নিহতের ঘটনা ঘটেছে।
আজ বুধবার ভোরে যশোর সদর উপজেলার যশোর-মণিরামপুর সড়কের কানাইতলা এলাকায় এই গোলাগুলির ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ নিশ্চিত করেছে।
যশোর কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ অপূর্ব হাসান জানান, মঙ্গলবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে থানায় টেলিফোনে খবর আসে যশোর মণিরামপুর সড়কের কানাইতলা নামক স্থানে দুই দল ডাকাত সড়ক ডাকাতির প্রস্তুতি নিচ্ছে। খবর পেয়ে কোতয়ালি থানার এসআই কাইয়ুম মুন্সীর নেতৃত্বে একদল পুলিশ ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন। কিন্তু পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছানের আগেই ডাকাতদলের মধ্যে গোলাগুলি শুরু হয়। এতে ঘটনাস্থলে ২ জন নিহত হন। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ডাকাতদল ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে গুলিবিদ্ধ ২ জনকে উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। যশোর জেনারেল হাসপাতালের ইমার্জেন্সি মেডিকেল অফিসার কাজল মল্লিক তাদেরকে মৃত ঘোষণা করেন। ডাক্তার কাজল মল্লিক জানান, হাসপাতালে আনার আগেই তাদের মৃত্যু হয়।
এসআই কাইয়ুম মুন্সী বলেন, গুলিবিদ্ধ ২ ব্যক্তিকে উদ্ধারের সময় ঘটনাস্থল থেকে গুলির খোসা, হাসুয়া, করাত, কিছু রশি ও স্যান্ডেল উদ্ধার করা হয়। ডাকাতির প্রস্তুতিকালে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্বে গোলাগুলিতে দুই ডাকাতের মৃত্যু হয়েছে পুলিশের পক্ষ থেকে দাবি করা হলেও এলাকাবাসীর বক্তব্য এলাকায় এ ধরনের কোনো গোলাগুলির ঘটনা ঘটেনি।
নিহত দুজনের মধ্যে একজনের পরনে চেক লুঙি ও শার্ট এবং অপরজনের পরনে কালো প্যান্ট ও ফুলহাতা গেঞ্জি রয়েছে। নিহত ২ জনের বয়স ৩৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে। তাদের নাম পরিচয় পুলিশ নিশ্চিত করতে পারেনি।
উল্লেখ্য, গত ৩ দিনে যশোরে কথিত গোলাগুলিতে ৬ ব্যক্তি নিহত হয়েছেন। এর মধ্যে গত সোমবার ভোরে বারীনগর মথুরাপুর রেল লাইনের পাশ থেকে ২ জন, মঙ্গলবার ভোরে মণিরামপুরের রাজগঞ্জ সড়কের গাংগুলিয়া এলাকা থেকে ২ জন ও আজ বুধবার ভোরে যশোর সদর উপজেলার কানাইতলা এলাকা থেকে আরো ২ জনের গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধারের ঘটনা ঘটেছে। নিহত ৬ জনেরই সকলের মাথায় একটি করে গুলি বিদ্ধের ঘটনা ঘটেছে। তাদের নাম পরিচয় কেউ নিশ্চিত করতে পারছে না।
