পুলিশ তিনটি পর্যায় থেকে প্রশ্নপত্র ফাঁস হয় বলে জানিয়েছে। এসএসসি পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে আটজনকে আটকের পর সংবাদ সম্মেলনে বাহিনীটি জানায়, প্রশ্ন প্রণেতা, বিজিপ্রেসে ছাপার কাজে জড়িত আর জেলা পর্যায়ে কালেক্টর অফিসে যারা এগুলো গ্রহণ করে পরীক্ষা কেন্দ্রে বিতরণ করে তাদের মধ্য থেকে প্রশ্ন ফাঁস হতে পারে।

বৃহস্পতিবার ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন ডিএমপির গোয়েন্দা পুলিশের দক্ষিণ বিভাগের যুগ্ম কমিশনার আব্দুল বাতেন।

চলমান এসএসসি পরীক্ষায় একাধিক বিষয়ে প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। পরীক্ষার আগের দিন সামাজিক যোগাযোগের অ্যাপ হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে এসব প্রশ্ন ছড়িয়ে দেয়া হয়। এরই মধ্যে এ বিষয়ে কাজ করছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি তদন্ত কমিটি।

গণমাধ্যমে প্রকাশিত প্রতিবেদন অনুযায়ী প্রশ্নপত্র ফাঁসকারীরা কোনো টাকা পয়সা ছাড়াই প্রশ্ন বিলাচ্ছেন। নির্দিষ্ট নম্বরে হোয়াটস অ্যাপের মাধ্যমে যোগাযোগ করলেই প্রশ্ন দেয়ার কথা বলছেন। গণিতের প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগে এর আগে গত ১৩ ফেব্রুয়ারি ছয় জনকে আটক করে ঢাকা মহানগর পুলিশ। পরদিন তাদেরকে আদালতে তুলে বাহিনীটি। বিচারকের আদেশে চার দিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদও করা হয় তাদেরকে। তাদেরকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার রাতেই আবার ফাঁস হয় বরিশাল ও ঢাকা বোর্ডের শারীরিক শিক্ষা বিষয়ের প্রশ্ন। দুইদিন পর ১৬ ফেব্রুয়ারি ঢাকা বোর্ডের পদার্থ বিজ্ঞানের প্রশ্নপত্রও হুবহু পাওয়া যায় হোয়াটস অ্যাপে।

এর মধ্যে গত বুধবার রাতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে মোট আট জনকে আটক করেছে গোয়েন্দারা। এরা হলেন: রমন হোসেন মাহির, রাজিব আলী, আরিফুল ইসলাম আরিফ, তারিকুজ্জামান হিমেল, আবির, লিটন মিয়া, জহিরুল ইসলাম শুভ ও রফিকুল ইসলাম। এদের মধ্যে রফিকুল রাজধানীর কমলাপুর শেরে-ই বাংলা রেলওয়ে উচ্চবিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক।

সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল বাতেন জানান, আটকদের কাছ থেকে জিজ্ঞাসাবাদে বেশ কিছু তথ্য পেয়েছেন তারা। আটক আটজন তাদেরকে জানিয়েছেন, ভুয়া নামে একাধিক ফেসবুক ও হোয়াটস অ্যাপ আইডি ও ফেসবুক মেসেঞ্জার গ্রুপ খুলে প্রশ্ন ফাঁস করে তারা।

প্রাথমিকভাবে তিনটি চক্রকে সন্দেহের মধ্যে রেখে তাদেরকে ধরার কথাও জানান ডিবির যুগ্ম যুগ্ম কমিশনার। যে আট জনকে ধরা হয়েছে তারা তৃতীয় স্তরের অর্থাৎ জেলা কালেক্টর অফিসের কর্মী বলে জানান তিনি।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031