তুরস্ক সুইডেনে করোনায় আক্রান্ত এক নাগরিককে দেশে ফিরিয়ে এনেছে । রোববার স্থানীয় সময় সকাল ৯টায় তাকে বহনকারী বিমানটি (জিএমটি ০৭০০) মালমো বিমানবন্দর ছেড়ে আসে। সুইডেনে বসবাসরত ৪৭ বছর বয়সী তুর্কি নাগরিক এমরুল্লাহ গুলুসকেন করোনায় আক্রান্ত হয়েও সেখানে ঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না।
এমরুল্লাহর মেয়ে লায়লা রোববার একটি ভিডিও টুইট করেন। যেখানে তিনি জানান, তার বাবা করোনায় আক্রান্ত হয়েছে তবে ঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছেন না। কঠিন মুহূর্তে নিজ দেশকে পাশে দাঁড়ানোর আহ্বান জানান। যে ভিডিওটি নজরে আসে তুরস্কের স্বাস্থ্যমন্ত্রী ডা. ফাহরেদ্দিন খোজার। তিনি টুইটের জবাবে তার ভেরিফেইড ফেসবুক পেজে বলেন, ‘হ্যালো লায়লা! আমরা আপনার ভয়েজ শুনতে পেয়েছি।
আমরা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স নিয়ে সুইডেনে আসছি।’ এরপরই সুইডেন থেকে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং তার তিন সন্তানকে দেশে ফিরিয়ে আনা হয়।
আক্রান্ত ব্যক্তির কন্যা লায়লা বলেন, একজন চিকিৎসক বাড়িতে এসে আমার বাবাকে পরীক্ষা-নীরিক্ষা করে হাসপাতালে নেয়ার জন্য বলে। তাকে হাসপাতালে ভর্তি করানোর পর কোভিড-১৯ ধরা পড়ে। কিন্তু বাবা ঠিকভাবে চিকিৎসা পাচ্ছিলেন না। লায়লা আরও বলেন, তুর্কির নাগরিক হতে পেরে আমরা গর্বিত। আমাদের সঙ্গে তুর্কির কর্মকর্তারা এক মুহুর্তের জন্যও যোগাযোগ বন্ধ করেন নি। মালমোতে একটি এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আমাদের বিমানবন্দর যাবে। আল্লাহ আমাদের দেশকে রক্ষা করুন।
দেশে ফিরে লায়লা ফিরতি টুইটে বলেন, আমি জানতাম আমার দেশ আমাদের সমর্থন করবে। তারা এই কঠিন সময়ে আমাদের পাশে দাঁড়িয়েছে। আমি প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়্যেব এরদোয়ান ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী খোজাকে ধন্যবাদ জানাই। আল্লাহ আমাদের দেশকে রক্ষা করুন।
তুরস্কের যোগাযোগ পরিচালক ফাহেরেদ্দিন আলতুনও এক টুইটে বলেন, তুরস্কের নাগরিক এমরুল্লাহ গুলুসকেন সুইডেনে ভাইরাসে পজিটিভ ধরা পড়লেও তার চিকিৎসা হয়নি। আমরা তাকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্স দিয়ে তুরস্কে নিয়ে এসেছি। স্টকহোমে তুরস্কের দূতাবাস এবং প্রেসিডেন্সি ফর টার্কিস অ্যাবরোড অ্যান্ড রিলেটেড কমুনিটিস (ওয়াইটিবি) পরিবারের সঙ্গে এমরুল্লাহর পরিবার যোগাযোগ করে।
সুত্র: স্বাস্থ্যমন্ত্রীর ট্ইুট বার্তা ও আনাদুলু এজেন্সি
