বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে শরণার্থী ইস্যুতে চাপের মুখে পড়েছেন। আরও বেশি সিরিয়ান শরণার্থীকে বৃটেনে প্রবেশের সুযোগ দেয়ার বিষয় নিয়ে চাপ বাড়ছে তার ওপর। এর মধ্যে আজ তিনি জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনে যোগ দেয়ার উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছেন নিউ ইয়র্কের উদ্দেশ্যে। অধিবেশনে শরণার্থী সঙ্কট মোকাবেলায় তার সরকারের রূপরেখা তুলে ধরার কথা রয়েছে। এ খবর দিয়েছে বৃটিশ ট্যাবলয়েড মিরর। খবরে বলা হয়, ২০২০ সাল নাগাদ ২০ হাজার সিরিয়ান শরণার্থীকে গ্রহণের প্রতিশ্রুতি রয়েছে বৃটেনের। এতে করে দেশটির ১৭০ কোটি পাউন্ড খরচ হতে পারে বলে আশঙ্কা জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। দাতব্য সংস্থাগুলোর কর্মকর্তা, ধর্মীয় নেতা ও লেবার সংসদ সদস্যরা আশা করছেন, সিরিয়ার প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদ ও বিদ্রোহী আইএসের মধ্যেকার সংঘর্ষ থেকে যারা পালিয়ে আসছেন তাদের সহায়তায় নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করবেন বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা। বৃটেনের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও ইন্টারন্যাশনাল রেসকিউ কমিটির বর্তমান প্রেসিডেন্ট ডেভিড মিলিব্যান্ড বলেন, গত পাঁচ বছর ধরে বৃটেন প্রতিটি সংসদীয় আসনে গড়ে মাত্র ছয় জন করে শরণার্থীকে গ্রহণ করেছে। জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশনের প্রাক্কালে মিলিব্যান্ড ধনী দেশগুলোর প্রতি শরণার্থী ইস্যুতে ‘স্পষ্ট প্রতিশ্রুতি’ দেয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। স্কাই নিউজকে তিনি বলেন, ‘আন্তর্জাতিক উন্নয়ন বিভাগের মাধ্যমে যুক্তরাজ্য বৈশ্বিক মানবিক সহায়তার ক্ষেত্রে একটি নেতৃত্বশীল দেশ। প্রতিটি সংসদীয় এলাকায় মাত্র ছয় জন শরণার্থীকে আশ্রয় দেয়ার চেয়েও বেশি অবদান রাখতে পারি আমরা। যুক্তরাজ্যের এটা খোলাখুলিভাবে বলা উচিত যে প্রতি বছর ২০ বা ২৫ হাজার শরণার্থীকে তারা গ্রহণ করবে, এখনকার চেয়ে যা চারগুণ বেশি।’
খবরে বলা হয়, জাতিসংঘের সাধারণ অধিবেশকে বৃটিশ প্রধানমন্ত্রী তেরেসা মে’র তিনটি ‘মূলনীতি’কে অগ্রাধিকার দেয়ার কথা রয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে শরণার্থীরা প্রথম যে নিরাপদ দেশে পৌঁছাবে সে দেশে তাদের আশ্রয়ের আবেদন গ্রহণের নিশ্চয়তা, শরণার্থী ও অর্থনৈতিক কারণে অভিবাসীদের মধ্যে প্রত্যক্ষ পার্থক্য স্পষ্ট করা এবং নিরাপদ দেশগুলোকে অবৈধ অভিবাসীদের অন্য দেশের দিকে ধাবিত করা থেকে বিরত রাখা। অধিবেশনে যোগ দেয়ার জন্য রওনা দেয়ার আগে তেরেসা মে বলেন, জনসংখ্যার এমন চলাচল আমরা এর আগে কখনও দেখিনি এবং এর সদুত্তর দেয়ার জন্য আমাদের একসঙ্গে কাজ করতে হবে। আমাদের মানবিক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখতে হবে সেইসব শরণার্থীদের প্রতি যাদের জন্য সুরক্ষা পাওয়া অত্যন্ত জরুরি হয়ে পড়েছে। একইসঙ্গে বৈধ ও নিয়ন্ত্রিত অভিবাসনের অর্থনৈতিক সুবিধা নিয়েও জনসন্তোষ বজায় রাখতে হবে। তেরেসা বলেন, ‘এটা জরুরি একটি বিষয়। আধুনিক ইতিহাসের যেকোনো সময়ের তুলনায় এখন আরও বেশি বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত হচ্ছে। এটা জরুরি যে সবচেয়ে বেশি সুরক্ষা প্রয়োজন এমন মানুষদের জন্য আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখতে হবে।’
| M | T | W | T | F | S | S |
|---|---|---|---|---|---|---|
| 1 | 2 | 3 | 4 | 5 | 6 | 7 |
| 8 | 9 | 10 | 11 | 12 | 13 | 14 |
| 15 | 16 | 17 | 18 | 19 | 20 | 21 |
| 22 | 23 | 24 | 25 | 26 | 27 | 28 |
| 29 | 30 | 31 | ||||
