অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত সস্তায় জ্বালানি আর বেশিদিন দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন । তিনি বলেন, জ্বালানি খাতে ভর্তুকি অব্যাহত থাকবে। তারপরও বিদ্যুৎ ও জ্বালানির দাম বাড়বে।

মঙ্গলবার সন্ধায় রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ এ্যানার্জি রেগুলেটরী কমিশনের ১৬ তম প্রতিষ্টা বার্ষিকী উপলক্ষে অনুষ্টিত এক সেমিনারে অর্থমন্ত্রী এ কথা বলেন। অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী প্রধান অতিথি ছিলেন।

অর্থমন্ত্রী বলেন,  বিদ্যুৎ ও জ্বালানিতে সব সময়ই ভর্তুকি ছিল। যে সরকারই আসুক এই ভর্তুকি বন্ধ করতে পারবে না। আগামী বাজেটেও আমাদের এই ভর্তুকি অব্যহত থাকবে।

আন্তর্জাতিক বাজারের চেয়ে কম মূল্যে জনগণকে জ্বালানি দেয়া হচ্ছে অথমন্ত্রী বলেন, এ কারণেই জ্বালানি খাতে প্রতি বছর ভর্তুকি দেয়া হয়।

২২ মার্চ বাংলাদেশ স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা (এলডিসি) থেকে বের হয়ে আসার উৎসব করবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘আমরা এখন মধ্য আয়ের দেশে যাবো। এই মুহূর্তে নিউইয়র্কে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত হচ্ছে। আশা করা যায় আগামী আঠার তারিখের আগেই সে ঘোষণা আসবে । ২২ তারিখে আমরা তা উদযাপন করবো’।

অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানী বিষয়ক উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী বলেন, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটারী প্রতিষ্ঠান (বিইআরসি) স্বাধীন প্রতিষ্টান নয়। এটা স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান এটা সবার মনে রাখতে হবে। সরকার আইন করে এই প্রতিষ্ঠান সৃষ্টি করেছে। তবে স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে থাকলেও তাদের লক্ষ্য উদ্দেশ্য যেন যথাযথ বাস্তবায়ন করা যায় সেটা লক্ষ রাখতে হবে।

কানজুমার এসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) এর প্রেসিডেন্ট গোলাম রহমান বলেন, জ্বালানী খাতে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে হবে। যদিও বিইআরসি এখন পর্যন্ত ভোক্তাদের আস্থা অর্জন করতে পারেনি। সরকারের নির্দেশনা অনুসারে জ্বালানি তেলের দাম কমে কিংবা বাড়ে উল্লেখ করে সচ্ছতা জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে পারলে এ খাতে সুসাশন প্রতিষ্ঠি হবে বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এছাড়া আগামী বাজেটে জ্বালানী খাতের ওপর কোনো ট্যাক্স না বসানোর জন্য অর্থমন্ত্রীর প্রতি আহবান জানান তিনি।

জ্বালানী বিশেষজ্ঞ ম তামিম বলেন, বিইআরসির প্রতি কারও আস্থা নেই। তারা সরকারি এজেন্ডা বাস্তবায়ন করে। আন্তর্জাতিক বাজার মূল্যের সঙ্গে দেশের বাজারে জ্বালানির মূল্য সমন্বয় করতে হবে উল্লেখ করে এ বিষয়ে সরকারকে সিদ্ধান্ত নিতে আহ্বান জানান তিনি।

বিইআরসির চেয়ারম্যান মনোয়ার ইসলাম বলেন, ২০৪১ সালে দেশে বিদ্যুতের চাহিদা হবে ৬০ হাজার মেগাওয়াট। আর গ্যাসের চাহিদা এমসিএফটি। আমাদের লক্ষ্য টেকসই ও আধুনিক জ্বালানী নিশ্চিত করা।

এসময় পল্লি বিদ্যুৎ সমিতির পক্ষ থেকে বলা হয় তাদের যে ৪৫ হাজার কোটি টাকা সরকার ঋণ হিসেবে দেয়, তা যেন অনুদান হিসেবে দেয়া হয়।

অনুষ্ঠানে বিদ্যুৎ বিভাগের সচিব ড. আহমদ কায়কাউস, পেট্রোবাংলার চেয়ারম্যান আবুল মনসুর মোহম্মদ ফয়েজউল্লাহ প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।

জ্বালানিখাতের উপর মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিইআরসির সদস্য মিজানুর রহমান।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031