শুল্ক গোয়েন্দারা ‘ডার্টি মানি’র খোঁজে এখন পর্যন্ত আপন জুয়েলার্সের ছয়টি বিক্রয় কেন্দ্রে অভিযান চালিয়েছে । এ নিয়ে জুয়েলার্স সমিতি তাদের ব্যবসা নিয়ে উদ্বিগ্ন। কিন্তু পরোয়া করছেন না আপনের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিম। ঢাকাটাইমসকে টেলিফোনে দেয়া সংক্ষিপ্ত সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছেন, গত ৪০ বছর ধরে এমন অভিযান হচ্ছে। তিনি এগুলোকে পাত্তা দেন না।
গত ২৮ মার্চ দিলদারের ছেলে সাফাত আহমেদ ও তার বন্ধু নাঈম আশরাফ বনানীর একটি হোটেলে দুই তরুণীকে ধর্ষণ করেছেন বলে গত ৬ মে করা একটি মামলায় অভিযোগ উঠে। এরপর নানা ঘটনাপ্রবাহের পর আপন জুয়েলার্সের ‘ডার্টি’ মানি’ খুঁজতে অভিযানে নামার কথা জানিয়েছে শুল্ক গোয়েন্দারা।
রবিবার প্রথম দিনের অভিযানে রাজধানীতে আপন জুয়েলার্সের পাঁচটি বিক্রয়কেন্দ্রে অভিযান চালায় শুল্ক গোয়েন্দা বিভাগ। এর মধ্যে বন্ধ পাওয়া একটি বিক্রয়কেন্দ্র সিলগালা করে দেয়া হয়। অন্য চারটি বিক্রয় কেন্দ্র ডিসিসি শাখা, মৌচাক শাখা, ধানমন্ডির সীমান্ত স্কয়ার শাখা ও উত্তরা থেকে জব্দ করা হয় ২৮৬ কেজি স্বর্ণ এবং ৬১ গ্রাম হীরা।
আর সোমবার অভিযান চালানো হয় গুলশানে আপন জুয়েলার্সের প্রধান কার্যালয়ে। গুলশানের এই শোরুমে অভিযান চলাকালেই ঢাকাটাইমসের সঙ্গে কথা বলেন আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদ সেলিমের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘অভিযান শুরু হয়েছে। অভিযান তো হবেই। গত ৪০ বছর ধরেই অভিযান হচ্ছে।’
এই বক্তব্য দেয়ার পর পরিচয় জানতে চান দিলদার আহমেদ। সাংবাদিক পরিচয় দেয়ার পর তিনি বলেন, ‘গুলশান-২ নম্বরে অভিযান হচ্ছে। ভালো থাকবেন।’ এই কথা বলেই তিনি ফোন কেটে দেন।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অভিযান চলছিল। এটি শেষ হতে হতে রাত ১০টা থেকে ১১টা বেজে যাবে বলে জানিয়েছেন শুল্ক গোয়েন্দা অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। এরপর ব্রিফ করা হবে বলে জানিয়েছেন তারা।
অভিযানের থাকা শুল্ক কর্মকর্তা মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘এখন ওই দোকানে তল্লাশি চলছে।’
