দেশটির বিশেষ আদালত পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টো হত্যা মামলায় পুলিশের দুই সাবেক কর্মকর্তাকে ১৭ বছর করে কারাদণ্ড দিয়েছে। রায়ে সাবেক সেনাশাসক পারভেজ মোশাররফকে ‘পলাতক’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে। এই মামলায় অভিযুক্ত পাঁচ আসামিকে খালাস প্রদান করা হয়েছে। খবর ডন নিউজের।

আজ বৃহস্পতিবার পাঞ্জাবের রাওয়ালপিন্ডিতে সন্ত্রাস বিরোধী বিশেষ আদালতে এ রায় ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সালের ফেব্রুয়ারিতে পারভেজ মুশাররফের নাম এই মামলায় অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

২০০৭ সালের ২৭ ডিসেম্বর রাওয়ালপিন্ডিতে এক নির্বাচনী জনসভায় যোগ দিতে গেলে গুলি ও বোমা হামলা চালিয়ে দুই বারের প্রধানমন্ত্রী বেনজির ভুট্টোকে হত্যা করা হয়। বেনজির পাকিস্তান পিপলস পার্টি(পিপিপি)’র প্রধান ছিলেন। ওই সময় পাকিস্তানের ক্ষমতায় ছিলেন পারভেজ মোশাররফ।

যে দুজনকে ১৭ বছর করে দণ্ডাদেশ দেওয়া হয়েছে, তারা হলেন সাউদ আজিজ ও খুররম শাহজাদ। বেনজির হত্যাকাণ্ডের সময় সাউদ আজিজ রাওয়ালপিন্ডির পুলিশ প্রধানের দায়িত্বে ছিলেন। আর রাওয়াল টাউনের এসপির দায়িত্বে ছিলেন খুররম শাহজাদ। দায়িত্বে অবহেলার দায়ে তাদের এই সাজা দেওয়া হয়েছে। তাদের প্রত্যেককে পাঁচ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়েছে। অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।

রায়ে আদালত বলেছেন, উপযুক্ত প্রমাণের অভাবে পাঁচজন আসামিকে খালাস দেয়া হয়েছে। ওই পাঁচজনের বিরুদ্ধে তালেবান জঙ্গিদের সঙ্গে সম্পৃক্ততার অভিযোগ ছিল। পাঁচজনের মধ্যে দুজন পুলিশ সদস্যও রয়েছেন। বেনজির ভুট্টোকে হত্যার ঘটনায় দায়িত্বে অবহেলার অভিযোগে তারা কারাগারে ছিলেন।

রাওয়ালপিন্ডির আদালত সাবেক প্রেসিডেন্ট জেনারেল পারভেজ মোশাররফকে ‘বিচারপ্রক্রিয়া থেকে পলাতক আসামি’ বলে ঘোষণা করেছেন। এ মামলায় তাকেও অভিযুক্ত করা হয়েছিল। গত বছর থেকে স্বেচ্ছা নির্বাসনে রয়েছেন জেনারেল পারভেজ মোশাররফ। আদালত তার সম্পত্তি ক্রোক করার নির্দেশ দিয়েছেন।

আদালতের এই রায়কে প্রত্যাখান করেছেন বেনজিরের ছেলে বিলাওয়াল ভুট্টো। তিনি এই রায়কে ‘অসন্তুষ্টির ও অগ্রহণযোগ্য’ বলে উল্লেখ করেছেন। এক টুইট বার্তায় তিনি বলেন, সন্ত্রাসীদের ছেড়ে শুধু অন্যায্যই নয়, বিপজ্জনকও। এই রায়ের বিরুদ্ধে পিপিপি আপিল করবে।

বেনজিরের মেয়ে আসিফা টুইট বার্তায় বলেন, অপরাধের জন্য পারভেজ মোশাররফের শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত এ হত্যাকাণ্ডের ন্যায়বিচার হবে না।

পাকিস্তান পিপলস পার্টির সিনেটর শেরি রহমান এক টুইট বার্তায় বলেছেন, ১০ বছর পর আসল অপরাধী ছাড়া পেয়ে গেলেন। বিচারের একটি ভয়ানক লজ্জা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031