দুর্নীতি দমন কমিশন দুর্নীতির অভিযোগে এবার স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক আনিছুর রহমানকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে । দরপত্রখাতে দুর্নীতিবাজ চক্রের সঙ্গে তিনি জড়িত- এ অভিযোগ সামনে রেখে মাঠে নেমেছে কমিশন।

এই অধিদপ্তরের চতুর্থ শ্রেণির কর্মকর্তা আবজাল হোসেনের পিলে চমকে দেওয়ার মতো সম্পদের তথ্য পেলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের তিন দিনের মাথায় সোমবার ডাকা হয় আনিছুরকে। দরপত্রখাতে দুর্নীতিবাজ চক্রের সঙ্গে তিনি জড়িত কি না, সেটাই জানার চেষ্টা করা হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদে।

বেলা ১১টা থেকে দুইটা পর্যন্ত নানা প্রশ্নের জবাব দিয়ে বাইরে অপেক্ষমান সাংবাদিকদের আনিছুর বলেন, তিনি যে পদে ছিলেন সেখানে এ দুর্নীতির সুযোগ নেই। অর্থ আত্মসাতের সঙ্গে ঊর্ধ্বতনরা জড়িত কিনা- এ বিষয়ে সরসারি কিছু না বলে প্রমাণের অপেক্ষা করতে বলেন তিনি।

আপনাকে কেন ডাকা হয়েছে- জানতে চাইলে স্বাস্থ্য কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক হিসেবে বাজেট খাতে অল্প কিছুদিন কাজ করেছি। অধিদদপ্তরের রেভিনিউ খাতের বাজেট কিভাবে ডেসপাস হয় সে বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে।’

‘দুদক আমাকে তলব করেছে টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত আছি কিনা, তা জানতে। আমি কোনো ধরনের টেন্ডারের সঙ্গে জড়িত না। আমার বিরুদ্ধে দুর্নীতির কোনো প্রমাণ নেই।’

গত ১১ জানুয়ারি জিজ্ঞাবাদ করা আবজলের শত কোটি টাকারও বেশি সম্পদের তথ্য পাওয়া গেছে। তিনি জানিয়েছেন, টেন্ডার বাণিজ্যই তার ফুলে ফেঁপে উঠার কারণ। আনিছুরকেও ডাকা হয় দরপত্রে কারসাজির অভিযোগে।

এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমি বাজেট খাতে কাজ করি। আমার ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার অনুমতিক্রমে বাজেটপত্রে সই করেছি।’

তবে কি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অর্থ লোপাট করেছেন?- জানতে চাইলে জবাব আসে, ‘আমি প্রমাণ ছাড়া তাদের বিষয়ে কিছু বলতে পারবো না।’

দুদক থেকে অবশ্য বলা হয়েছে, ডা. আনিছুর রহমানকে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগেই জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। এ বিষয়ে প্রমাণ মিলেছে কি না, জানতে চাইলে দুদক উপপরিচালক সামছুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘তার বিরুদ্ধে দুর্নীতির বিষয়ে তদন্ত চলছে। এই মুহূর্তে কিছু বলতে পারব না।’

জিজ্ঞাসাবাদ এড়িয়েছেন দুই জন
আনিছুরের পাশাপাশি অধিদপ্তরের পরিচালক কাজী জাহাঙ্গীর হোসেন এবং আরেক কর্মকর্তা আব্দুর রশিদকেও গতকাল ডেকেছিল দুদক। তবে তারা আসেননি। শারীরিক অসুস্থতার কারণ দেখিয়ে ১৫ দিনের সময় আবেদন করেছেন তারা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031