স্বামী-স্ত্রী দুজনই চাকরি করেন একই অধিদপ্তরে। স্বামী পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের আইইএম ইউনিটের প্রজেক্টশনিস্ট। আর স্ত্রী জেলা কার্যালয়ের হিসাবরক্ষক। কার্যালয় আলাদা হলেও দুজন নানা যোগসাজশে অনিয়ম আর দুর্নীতির মাধ্যমে গড়ে তুলেছেন কোটি টাকার সম্পদ। গড়েছেন বাড়ি, কিনেছেন প্লট। পরিবার পরিকল্পনার এই কর্মচারী দম্পতির নাম মো. আক্তারুজ্জামান ও রোকসানা আক্তার। অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ এনে এই দুই কর্মচারীর বিরুদ্ধে গতকাল মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সংস্থাটির উপ-সহকারী পরিচালক মো. সহিদুর রহমান বাদী হয়ে দুজনের বিরুদ্ধে পৃথক মামলা দায়ের কারেন।

এজাহার সূত্রে জানা যায়, পরিবার পরিকল্পনা অধিদপ্তরের প্রজেক্টশনিস্ট মো. আক্তারুজ্জামান অসাধু উপায়ে ৮২ লাখ টাকা মূল্যের অবৈধ সম্পদ অর্জন করেন। এ ছাড়া দুদককে দেয়া সম্পদ বিবরণীতে ৩৬ লাখ ২২ হাজার টাকা সম্পদ গোপন করেন। অন্যদিকে আক্তারুজ্জামানের স্ত্রী রোকসানা আক্তার সম্পদ বিবরণীতে মিথ্যা তথ্য দিয়েছেন। তিনি সম্পদ বিবরণীতে ৮৪ লাখ টাকার সম্পদের তথ্য গোপন করেছেন। সবমিলিয়ে রোকসানা আক্তারের আয়বহির্ভূত সম্পদের পরিমাণ ১ কোটি ২৮ লাখ ২৩ হাজার টাকা।
দুদকের মামলার সূত্রে জানা যায়, এই দম্পতি যৌথভাবে মিরপুর ১০ নং এলাকায় ২ কাঠা জমির উপর একটি সাত তলা বাড়ি করেছেন। যা নির্মাণে বৈধ অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি আক্তারুজ্জামান ও রোকসানা আক্তার। এ ছাড়া মিরপুর হাউজিং এস্টেটে ৪৩ লাখ টাকা মূল্যের দেড় কাঠা পরিমাণের একটি প্লটও কেনেন আক্তারুজ্জামান। দুদকে দাখিল করা সম্পদ বিবরণীতে এই প্লটটিও কেনায় কোনো বৈধ অর্থের উৎস দেখাতে পারেননি তিনি।
এসব অভিযোগ আমলে নিয়ে দুর্নীতি দমন কমিশন আইন-২০০৪ এর ২৬ (২) এবং ২৭ (১) ধারায় শাস্তিযোগ্য অপরাধ বিবেচনায় মামলা করেছেন সংস্থাটির কর্মকর্তা।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031