সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরা ধীরে ধীরে দুর্বল হতে শুরু করেছে উত্তর বঙ্গোপসাগরে । ঘূর্ণিঝড়টি মঙ্গলবার সকালেকক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূলে আঘাত আনে। বেলা ১১টার মধ্যে ঘূর্ণিঝড়টি বাংলাদেশ অতিক্রম করতে পারে। তবে উপকূলীয় এলাকায় আরো ৬ ঘণ্টা মহাবিপদ সংকেত থাকবে।
মঙ্গলবার বেলা ১১টায় রাজধানীর আগারগাঁওয়ে সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানান আবহাওয়া অধিদফতরের পরিচালক সামসুদ্দিন আহমেদ। তিনি বলেন, আরো ১২ ঘণ্টা দেশে বৈরি আবহাওয়া বিরাজ করবে। এর ফলে ঝড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে। মোরা বাংলাদেশ অতিক্রম নাও করতে পারে। এটি দেশের ভেতরে নিস্ক্রীয় হয়ে যেতে পারে।
সামসুদ্দিন আহমেদ বলেন, মোরা চট্টগ্রাম উপকূলে ঘণ্টায় ১২৫ কিলোমিটার বেগে টেকনাফে ১৩৫ কিলোমিটার বেগে ও সেন্টমার্টিনে ১১৪ কিলোমিটার বেগে আঘাত হানে। ঘূর্ণিঝড় মোরা উত্তরদিকে অগ্রসর হয়ে মঙ্গলবার সকাল ৬টায় কুতুবদিয়ার নিকট দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করে।
এদিকে আবহাওয়া অধিদফতর জানিয়েছে, বঙ্গোপসাগরে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় মোরার আঘাতে কক্সবাজারে দুইশতাধিক বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। একই সঙ্গে বেশ কিছু গাছপালা উপড়ে পড়েছে। ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটারের বেশি বাতাসের গতিবেগে কুতুবদিয়ার কাছ দিয়ে কক্সবাজার-চট্টগ্রাম উপকূল অতিক্রম করেছে এ ঘূর্ণিঝড়।
ঘূর্ণিঝড় মোরার প্রভাবে জড়ো বাতাস ও ভারি বৃষ্টিতে কক্সবাজার উপকূলের শত শত ঘরবাড়ি ধসে গেছে। জেলার বিভিন্ন স্থানে বিদ্যুতের তার ছিঁড়ে এবং গাছ পড়ে যান চলাচল বন্ধ হয়ে গেছে। একইসঙ্গে মোবাইল যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন রয়েছে। আর জলোচ্ছ্বাসের ফলে বহু এলাকা প্লাবিত হয়েছে।
তবে ঘূর্ণিঝড় মোরাকে কেন্দ্র করে সোমবার রাত থেকে মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত বিভিন্ন উপকূলীয় অঞ্চলে ৩ হাজার ৪০২টি আশ্রয় কেন্দ্রে প্রায় ৪ লাখ ৩৫ হাজার ৮২৯ জন মানুষ অবস্থান নিয়েছেন বলে জানা গেছে। আর শুধু কক্সবাজার জেলায় আনুমানিক ৬০০ আশ্রয় কেন্দ্র ছাড়াও বিভিন্ন স্কুল-কলেজ ও ইউনিয়ন পরিষদে প্রায় ১ লাখ ২৮ হাজার মানুষ অবস্থান নিয়েছে বলে জানিয়েছে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন ঘূর্ণিঝড় প্রস্তুতি কর্মসূচি।
