ফাইল ছবি
দেশের খামারিরা চাহিদা পূরণে যতটা ডিম প্রয়োজন ঠিক ততটাই ডিম উৎপাদনে সক্ষম । প্রাণিসম্পদের অধিদপ্তরের হিসাব অনুযায়ী, বছরে একজন মানুষের ডিমের চাহিদা ১০৪টি। আর চাহিদার বিপরীতে ১0৪ দশমিক ২৩টি জনপ্রতি বার্ষিক ডিম উৎপাদন হচ্ছে। অর্থাৎ দেশ ডিম উৎপাদনের স্বয়ংসম্পূর্ণ।
বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও শুক্রবার পালিত হচ্ছে বিশ্ব ডিম দিবস। এবার দিবসটির প্রতিপাদ্য– ‘প্রতিদিনই ডিম খাই, রোগ-প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়াই’। দিবসটি উপলক্ষে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর (ডিএলএস), বাংলাদেশ পোলট্রি ইন্ডাস্ট্রিজ সেন্ট্রাল কাউন্সিল (বিপিআইসিসি) এবং ওয়ার্ল্ড পোলট্রি সায়েন্স অ্যাসোসিয়েশন বাংলাদেশ সারাদেশে বিভিন্ন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
প্রাণিজ আমিষের চাহিদা পূরণ, স্বাস্থ্যবান ও মেধাবী জাতি গঠন– সর্বোপরি ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যে ১৯৯৬ সাল থেকে এ দিনটি বিশ্বজুড়ে পালিত হয়ে আসছে।
অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় অক্টোবর মাসের দ্বিতীয় শুক্রবার প্রথম বিশ্ব ডিম দিবসের আয়োজন করা হয়। ডিমের গুণাগুণ সম্পর্কে জনসচেতনতা বাড়াতে বর্তমানে বিশ্বের ৪০ দেশে পালিত হয় দিবসটি।
মুরগির উন্নত জাত উদ্ভাবন
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউট (বিএলআরআই) বিএলআরআই দেশীয় মুরগির জাতসমূহের উৎপাদন দক্ষতা বৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখছে। যেখানে দেশি মুরগির বাৎসরিক ডিম উৎপাদন ১১০ থেকে ১২০টি সেখান থেকে বর্তমানে ১৭০ থেকে ১৮০টি উন্নীত হয়েছে।
গবেষণার মাধ্যমে দেশীয় আবহাওয়ায় পালনযোগ্য অধিক ডিম উৎপাদনশীল দুটি লেয়ার স্ট্রেইন (শ্রভ্রা ও স্বার্ণা) মুরগির জাত উদ্ভাবন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১১ সালে শুভ্রা স্ট্রেইনটি খামারি পর্যায়ে সম্প্রসারণের জন্য উন্মুক্ত করেন। বিএলআরআই উদ্ভাবিত স্ট্রেইন দুটি বছরে ২৮০ থেকে ৩০৫টি ডিম দেয়।
জানা গেছে, দেশীয় আবহাওয়ায় পালন উপযোগী জাত হওয়ায় খামারিরা তুলনামূলক অধিক লাভবান হয়ে থাকেন। স্বল্পমূল্যে প্রান্তিক খামারিরা অধিক ডিম ও মাংস উৎপাদনকারি মুরগির বাচ্চা পালন করে আর্থ সামাজিক অস্থার উন্নয়ন ঘটাচ্ছেন।
বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বিএলআরআই) মহাপরিচালক ড. নাথুরাম সরকার ঢাকাটাইমসকে বলেন, ‘আমাদের উদ্দেশ্য হলো সবার জন্য নিরাপদ, পর্যাপ্ত মানসম্মত আমিষ নিশ্চিত করা।’
ড. নাথুরাম সরকার বলেন, ‘আমরা খামারি পর্যায়ে প্রাণিসম্পদ প্রযুক্তির সম্প্রসারণ করছি এবং তাদের প্রশিক্ষণ দেয়া হচ্ছে। আমাদের মিশন হলো, খাদ্য ও পুষ্টি সরবরাহে স্বয়ংসম্পূর্ণতা অর্জন, কর্মসংস্থান ও দারিদ্র্য বিমোচনের জাতীয় প্রাণিসম্পদ উৎপাদন ও বিপণনব্যবস্থার সমস্যা ও সম্ভাবনাভিত্তিক গবেষণার মাধ্যমে জ্ঞান ও প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং প্রাথমিক সম্প্রসারণ।’
