কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী উপজেলার চরাঞ্চলে নায়েকেরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৫ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে ওই স্কুলের সহকারি শিক্ষক শহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে। ঘটনা ধামাচাপা দিতে ইউপি চেয়ারম্যানসহ একটি মহল নামমাত্র শালিস করেছে। গত রোববার শালিসে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হলেও ধর্ষিতার পরিবারকে দেয়া হয়েছে মাত্র ৭০ হাজার টাকা। বুধবার ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় তোলপাড় শুরু হয়। ঘটনার পর প্রধান শিক্ষক অভিযুক্ত শিক্ষককে ছুটি প্রদান করেছে। এই ঘটনার পর ক্ষুব্ধ এলাকাবাসী ও অভিভাবক অভিযুক্ত শিক্ষকের শাস্তির দাবিতে মিছিল ও সমাবেশ করে বিদ্যালয়ে তালা ঝোলানোর হুমকী দিয়েছে। ধর্ষিত ওই শিশুর পরিবার সূত্রে জানা গেছে, নাগেশ্বরী উপজেলার কচাকাটা থানা এলাকার কচাকাটা ইউনিয়নের নায়েকেরহাট সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণির কয়েকজন ছাত্রী স্কুল ছুটির পর গণিত বিষয়ে টিউশনি পড়তো ওই স্কুলের বিএসসি শিক্ষক শহিদুল ইসলামের কাছে। ওই শিক্ষকের নোংরা দৃষ্টি পড়ে এক ছাত্রীর উপর। পড়া শেষে অন্যান্য ছাত্রীরা চলে গেলে ওই ছাত্রীকে শ্রেণিকক্ষ ঝাড়– দেয়ার কথা বলে। ঝাড়– নিয়ে কক্ষে ঢোকা মাত্রই দরজা বন্ধ করে ওই ছাত্রীকে ধর্ষণ করে শিক্ষক শহিদুল। গত একমাসে ৬-৭ দিন ধর্ষণ করার অভিযোগ করেছে ওই ছাত্রী। সর্বশেষ গত ২ নভেম্বর একইভাবে তাকে শ্রেণিকক্ষে জোর করে ধর্ষণ করে। বাড়িতে কেঁদে শিক্ষকের কুকীর্তি মাকে বলে। ধর্ষিতা ছাত্রী জানান, স্কুলে যেতেই ওই শিক্ষক তাকে বলতো ‘আজ থাকবি; যাবিনা, তোর হবে’। সে যেতে চাইলে ভয়ভীতি দেখিয়ে আটক করতো বলেও অভিযোগ করে সে। কচাকাটা ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুল আউয়াল জানান, সালিশের মাধ্যমে বিষয়টি মীমাংসা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে নাগেশ্বরী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু হায়াত মো. রহমতুল্লাহ জানান, বিষয়টি মৌখিকভাবে জেনেছি। লিখিত অভিযোগ পেলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।

Share Now
December 2025
M T W T F S S
1234567
891011121314
15161718192021
22232425262728
293031